ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

নিসর্গসখা দ্বিজেন শর্মার প্রয়াণবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ০৭:৪১ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

নিসর্গসখা দ্বিজেন শর্মার প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী আজ। গত বছরের আজকের এই দিনে ৮৮ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও তরুপল্লব দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

দ্বিজেন শর্মা মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে ১৯২৯ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম চন্দ্রকান্ত শর্মা ও মায়ের নাম মগ্নময়ী দেবী। তিনি ১৯৪৭ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৪৯ সালে আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।

১৯৫৪ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষকতা পেশা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। এর পর তিনি নটর ডেম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার মস্কোতে প্রগতি প্রকাশনীর অনুবাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটিতে যোগ দেন।

বাংলাদেশে প্রকৃতি ও নিসর্গবিষয়ক লেখালেখিরও পথিকৃৎ দ্বিজেন শর্মা। উদ্ভিদ ও প্রকৃতি নিয়ে লেখা তার আকরগ্রন্থ `শ্যামলী নিসর্গ`। তার লেখা অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- `সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস`, `ফুলগুলি যেন কথা`, `চার্লস ডারউইন ও প্রজাতির উৎপত্তি`, `সমাজতন্ত্রে বসবাস`, `ডারউইন :বিগল যাত্রীর ভ্রমণকথা`, `নিসর্গ, নির্মাণ ও নান্দনিক ভাবনা`, `বাংলার বৃক্ষ`, `আমার একাত্তর ও অন্যান্য`, `প্রকৃতিমঙ্গল`, `বৃক্ষ ও বালিকা গল্প` ইত্যাদি।

এ ছাড়া দেড় যুগ মস্কোর প্রগতি প্রকাশনীতে কাজের সময় ৫০টির মতো বই অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন।

দ্বিজেন শর্মা তার কর্মময় জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে একুশে পদক, ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র পদক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন পরিবেশ পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
এসএ/