ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

নদীভাঙনে পূর্বপ্রস্তুতি না নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ 

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার

পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অসংখ্যা মানুষ। বসতভিটা হারিয়ে অনেকে এখন দিশেহারা। নদীভাঙন বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি না নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।   

সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নদীভাঙন কবলিত এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ এর সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাদ্র মাসে নদীতে পানির টান পড়ে। তাই এ সময় নদীভাঙনের ঘটনা ঘটে। তবে আগে থেকে বুঝা যায় না কোন এলাকায় নদীভাঙন হবে। তারপরও যেসব এলাকা নদীভাঙন কবলিত বলে চিহ্নিত সেসব এলাকায় পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেরকমভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এমনকি নদীভাঙন বিষয়ে তাকে কেউ জানায়ওনি। এজন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত কিছুদিন যাবত শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরে এখনও অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে সেখানে নিঃস্ব হয়েছে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৮ হাজার পরিবার। ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উত্তারাঞ্চলেরও বেশ কয়েকটি এলাকা নদীভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

এসি