ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

খেলতে পারছি না, এটা সহ্য করা খুবই কঠিন: তামিম

প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৩২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

এক হাতে ব্যাটিংয়ের বীরোচিত কীর্তি দেখিয়ে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করেছে তামিম ইকবাল। যা এখনও আলোচনার তুঙ্গে। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি হাতের সেই চোট নিয়ে ফিরছেন দেশে।মঙ্গলবার সকালে রওনা হচ্ছেন দেশের পথে। কিন্তু যে চোটের কারণে কীর্তিময় এমন আসর ছেড়ে তাকে দেশে ফিরতে হচ্ছে সেই চোট এখন কোন পর্যায়ে?

তামিম ইকবাল নিজেই তা জানালেন, প্রথম দুই সপ্তাহ একটু ক্রিটিকাল। আজকেও ডাক্তার দেখিয়েছি। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে অপারেশনের দরকার নেই। স্ক্যান রিপোর্ট আমরা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়েছি। তারাও বলেছেন, আপাতত অপারেশন দরকার নেই। তবে এক সপ্তাহ পর আরেকবার স্ক্যান করতে হবে। পরের সপ্তাহে আরেকবার। দেখতে হবে ঠিকমত জোড়া লাগছে কিনা।

যদি ঠিকভাবে জোড়া লাগে, তাহলে আর অপারেশন লাগবে না। কিন্তু এক বা দুই সপ্তাহ পর যদি দেখা যায় যে একটু বাঁকাভাবে জোড়া লাগছে, তাহলে অপারেশন লাগবে। অপারেশন হলে এর পর থেকে ৫-৬ সপ্তাহ লাগবে ঠিক হতে। এখন প্রথম ১০-১২ দিনই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকভাবে জোড়া লাগলে অপারেশন লাগবে না। সেক্ষেত্রে আগেই ফিরতে পারব আশা করি।

নিজেকে ফিট রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমার ফিটনেস ট্রেনিংয়ের একটা বড় অংশ রানিং। বাসায় ট্রেডমিলে, কিংবা বাসার সামনের রাস্থায়, মাঠে এসে দৌড়াই। কিন্তু এখন অন্তত ২-৩ সপ্তাহ রানিং করাই যাবে না। নিজেকে ফিট রাখা তাই বড় চ্যালেঞ্জ। সাইক্লিং করা যাবে এই সময়, যেহেতু হাত নাড়াতে হচ্ছে না। কিন্তু এটা আমি ঠিক উপভোগ করি না। আর আমি এসন একজন মানুষ, কোনো কিছু উপভোগ না করলে তা করতে ভালো লাগে না। এখন সাইক্লিংকে যে করেই হোক ভালো লাগাতে হবে।

ডায়েট নিয়ে আগে যদি ৫০ ভাগ সতর্ক থাকি, এখন ৮০ ভাগ সতর্ক থাকতে হবে। আমার শরীরটাই এরকম যে অল্প একটু খেলেও দ্রুত শরীরে লেগে যায়। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং অনেক।

দলের অনেকেই বলেছে যেন আরও দুই-চার দিন থেকে যাই। অনেক অনুরোধ করেছে। কিন্তু আমি পারব না। ওরা প্র্যাকটিস করবে, ম্যাচ খেলবে, আমি বসে বসে দেখব, এটা আমি পারব না। স্রেফ সহ্য করতে পারব না।

এমনিতে দুবাই আমার ভালো লাগে। চাইলে পরিবার, বন্ধু বান্ধবদের এনে, অন্য হোটেলেও থাকতে পারি। আর তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমি দুবাইয়ের আশেপাশেও আর থাকতে চাই না। যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে চাই। কারণ এখানেই আমার দল খেলছে, আমি পারছি না, এটা মানতে পারব না।এটা সৈহ্য করা খুবই কঠিন।

আরকে//