ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ডায়াবেটিস রোগীর গলব্লাডারে পাথর হলে কী করবেন

ডা. শেখ ফিরোজ কবীর

প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর বহু মানুষের হয়ে থাকে। সাধারণত চলিশোর্ধ্ব নারীদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। বেশ কিছু কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে এ রোগ বাসা বাধলে বিপদ হতে পারে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণ ও চিকিৎসা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইউএস বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. শেখ ফিরোজ কবীর

ডায়াবেটিস রোগীদের গলব্লাডারে পাথর হলেও কোনো ব্যথা হয় না বা খুব কম ব্যথা হয়। আমি এমন রোগীও পেয়েছি যাদের পিত্তথলি পচে গেছে কিন্তু কোন ব্যথা নাই। এজন্য আমরা বলি ডায়াবেটিস রোগীদের পাথর ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো উচিত। এসব ক্ষেত্রে অপারেশন ওই প্রদাহ থাকা অবস্থায় করাতে হয়। নয়তো ডায়াবেটিসও ভালো হবে না প্রদাহও কমবে না।

ব্যাথা ছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। আমরা এটাকে বলি এ ক্যালকুলাস। একই রকম ব্যথা, একই রকম সিনড্রোম। রোগীর মনে হবে তার পাথর আছে। তখন আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওষুধ দিই। বলি, আপনার অপারেশন করা লাগবে না।

যেসব কারণে গলব্লাডারে পাথর হয়

*খাবারে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেশি থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হয়।

*যেসব নারী হরমোন নেন, নিয়মিত পিল খান তাদেরও পিত্তথলিতে পাথর হয়।

*বছরের পর বছর গ্যাস্ট্রিকে ওষুধ খেলেও পিত্তথলিতে পাথর হয়।

*গর্ভধারনও গরব্লাডারে পাথর হওয়ার একটা কারণ। কেননা গর্ভধারন করলে চলাফেরা কম করা হয়। এর ফলে পিত্তথলির ফাংশনটা কমে যায়।

*যারা শারীরীক পরিশ্রম কম করে তারাও পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে ভোগেন।

*স্থুলকায় শরীর পিত্তথলির পাথরের প্রধান কারণ। এজন্য দেখা যায় আমেরিকার দশ ভাগ লোক গলব্লাডারে পাথর নিয়ে চলছে।

*পরিবারে কারো গলব্লাডারে পাথর থাকলে অন্যদেরও পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

*শিশুর ক্ষেত্রে যদি রক্তে লোহিত কণিকা যদি ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রে বেশী হতে পারে।

চিকিৎসা

অনেক রোগী আমাদেরকে বলে থাকে, স্যার ওষুধ দিয়ে পাথর গলানো যাবে কি-না? আসলে পাথর গলানোর কোনো ওষুধ নাই। তবে বিদেশে এক ধরনের পদ্ধতি আছে - যারা পেট কাটতে চায় না তাদের জন্য। এই পদ্ধতিতে কিডনীর পাথর যেভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হয় ঠিক সেভাবে গলব্লাডারের পাথরও ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু ভেঙে দেওয়া পাথরটা বের করার জন্য ইআরসিপি করতে হয়। কিন্তু ইআরসিপি করা অনেক বড় ব্যপার। তাই সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে অপারেশন করা। এর ফলে গলব্লাডারের পুরো থলিটাই ফেলে দিলাম।

/ এআর /