দুর্নীতির আখরা বিআরটিএ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

বিআরটিএ দেশের অন্যতম একটি সেবা খাত। মানুষকে সেবা দেওয়ার কথা কাগজে কলমে থাকলেও হরহামেশা হয়রানির শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ অনেকেরই। যেটি উঠে এসেছে একুশে টেলিভিশনের অনুসন্ধানে।
দেশে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও এ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাসহ মোটরযান মালিক ও চালক সংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপূর্ণ একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা বিআরটিএ। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, মোটরযানের কর আদায়, ফিটনেস চেক, সড়কে শৃংখলার প্রতিষ্ঠার মতো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম থেকে বিআরটিএ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। জাতীয় রাজস্বে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সেবা ও সেবারমান, জান-ভোগান্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জর্জরিত।
টিআইবির রিপোর্ট অনুযায়ী, গেলো বছরে বিআরটিএর সেবাগ্রহণকারীদের প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষকে দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে। সেবাপ্রার্থী মোটরযান মালিকদের প্রায় ৬২ শতাংশ এবং চালকদের প্রায় ৮০ শতাংশকে ঘুষ দিতে হয়েছে।
বিআরটিএতে সেবাভেদে দুর্নীতি ও অনিয়মের ভিন্নতা রয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হয়। এই হার অন্তত ৮০ শতাংশ। এছাড়া, যানবাহনের মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস চেক ও নবায়ন করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, দালাল ছাড়া বিআরটিএতে কাজ করা দুঃসাধ্য। কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে খোদ আনসার বাহিনী। ভ্রাম্যমান আদালতের কারণে দালালদের দৌরাত্ব কিছুটা কমলেও সে জায়গা দখল করেছে আনসাররা বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
এসএইচ/