ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ধর্ম এক হলেও তুর্কি-বাঙালি সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন

প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘তুর্কি জীবন ধারা: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

ইনস্টিটিউটের নিজস্ব হল রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে একক বক্তা হিসেবে সাহিত্যিক, তুর্কি স্কলারশিপ ফেলো ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোজ মেহেদী ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য্য। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনির উদ্দিন, সাবরিনা চৌধুরী, মিজানুর রহমান, রফিকুম মুনির চৌধুরী, একেএম জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে সরোজ মেহেদী তুর্কিদের জীবন ও সমাজ ব্যবস্থার নানাদিক আলোকচিত্র ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।   

তরুণ এই শিক্ষক বলেন, বিজেতা জাতি হিসেবে সারাবিশ্বের মুসলমানদের ওপর তুর্কিদের একটা প্রভাব রয়েছে।আমরা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যেও বিষয়টা দেখি। তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও তুর্কি-বাঙালি সংস্কৃতি একদমই ভিন্ন। এটা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই জানার সুযোগ হয় না।

বক্তা বলেন, তুর্কিদের নিজস্ব একটি জীবনধারণ পদ্ধতি আছে। যা আধুনিক ও ইউরোপ দ্বারা প্রভাবিত। যেমন সেখানকার মেয়েরা চলনে বলনে আধুনিক। তাদের একটা বিশাল সংখ্যা পুরুষদের পাশাপাশি কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়, হাট-বাজার, রাস্তা ঘাটে মেয়েদের উপস্থিতি কখনো কখনো ছেলেদের চেয়ে বেশি মনে হয়। ফলে ধর্ম এক হওয়ার পরও তাদের জীবনাচার পুরো মুসলিম বিশ্ব থেকে ভিন্ন।   

মেহেদী তার উপস্থাপনায় তুর্কিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধরণ, খাদ্যাভাষা, পোষাক পরিচ্ছেদসহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি তুরস্কে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাত ও ভাষা বৈষম্য নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য্য বিভিন্ন দেশ ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আন্ত সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ানো দরকার বলে মত দেন। তিনি সেমিনারে আসা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির দিকগুলো দেশের বাইরে তুলে ধরতে আহবান জানান।  

কেআই/এসি