ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

পাক-ভারত লড়াই: এশিয়া কাপের সবচেয়ে স্মরণীয় তিন ম্যাচ

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই চরম উত্তেজনা। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে উপভোগ্য লড়াই। কিন্তু মাঠের বাইরের বেশ কিছু কারণে ইদানিং এই দুই প্রতিবেশীর দেশের ময়দানে সাক্ষাত হওয়াটা বিরল ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু আইসিসি টুর্নামেন্ট ও এশিয়া কাপের মতো একাধিক দেশের টুর্নামেন্টেই দুই দেশের দ্বৈরথ দেখতে পান ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বুধবার এশিয়ায়া কাপের গ্রুপের খেলায় আরও একটি ভারত-পাক ম্যাচে হতে চলেছে। গত বছর ১৮ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে শেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল। সেটা ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। এই দীর্ঘদিনের ব্যাবধান কাটিয়ে আবার সেই লড়াই ফিরছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত ক্রিকেট বিশ্ব। সেই ম্যাচের আগে একবার ফিরে দেখা যাক এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের কিছু উত্তেজক টক্কর।

২ মার্চ ২০১৪, ঢাকা, ভারতকে ১ উইকেটে হারায় পাকিস্তান

সেইবার ঢাকার পিচ ছিল স্লো, স্পিন সহায়ক। দুই দলের স্পিনাররাই ম্য়াচে ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দিয়েছিলেন আফ্রিদি। শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৩ রানের। ৪৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের অসাধারণ বোলিং করেন। মাত্র ৩ রান দিয়ে তিনি সেই ওভারে তুলে নিয়েছিলেন উমর গুল ও মহম্মদ তালহার উইকেট। শেষ ওভার করেছিলেন অশ্বিন। সেই ম্যাচে তখন অবধি খুব কৃপন বল করেছিলেন তিনি। ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন সঈদ আজমলের উইকেট। কিন্তু সেই বিখ্যাত সিনেমার ডায়লগের মতো ‘পিকচার’ তখনও বাকি ছিল। কারণ উল্টোদিকের ক্রিজে ছিলেন আফ্রিদি ও তার ব্যাট। দ্বিতীয় বলে জুনেইদ খান একটি সিঙ্গলস নেন। স্ট্রাইক পান আফ্রিদি। আফ্রিদিকে এগিয়ে আসতে দেখে শর্ট পিচ় ডেলিভারি করেন অশ্বিন। আফ্রিদির ব্যাটের নিচের কানায় লেগেছিল বলটি। তাও এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে বল চলে যায় সীমানার ছাড়িয়ে। ছয়। তার পরের বলেও একই ফল। শুধু এইবার বল আফ্রিদির ব্যাটের লিডিং এজে লেগে বল গিয়েছিল লং অফ দিয়ে মাঠের বাইরে। এক উিকেটে সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান।

১৮ মার্চ ২০১২, ঢাকা, ভারত জিতেছিল ৬ উইকেটে

ওপেনার নাসির জামশেদ (১১২) ও মহম্মদ হাফিজের (১০৫) শতরানের জোরে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশাল ৩২৯ রান তুলেছিল। এরপর ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ফিরে গিয়েছিলেন ভারতের তখনকার নির্ভরযোগ্য ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তাতেই পাকিস্তান আত্মবিশ্বাসে ফুটতে শুরু করে। শচিন ছিলেন, তবে তখন ওয়ানডেতে তার ব্যাট চলছে না। আর কোহলিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি পাকিস্তান। আনবেই বা কী করে, তখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে তিন ইনিংসে বিরাটের রান যথাক্রমে ১৬, ১৮ ও ৯। পরের ২১১ মিনিট পাকিস্তানের বোলাররা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল বিরাট সংহার। ২২টি ৪ ও একটি ৬য়ের সাহায্য়ে মাত্র ১৪৮ বলে তিনি ১৮৩ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেছিলেন। ভারত ৪৭ দশমিক ৫ ওভারেই ৩৩০ রান তুলে ৬ উইকেটে জিতে নিয়েছিল সেই ম্যাচ।

২৬ জুন ২০০৮, করাচি, ভারত জেতে ৬ উইকেটে

শোয়েব মালিকের ১১৯ বলে করা ১২৫ রানের ইনিংসের জোরে পাকিস্তান ৫০ ওভারে তুলেছিল ২৯৯। শোয়েব মালিক মোট ১৬টি ৪ ও ১টি ৬ মেরেছিলেন। পাকিস্তানের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে ৩০০ রান তুলে জেতা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এর যে কড়া জবাব ভারত দিয়েছিল তার জন্য তৈরি ছিল না পাকিস্তান। বীরেন্দ্র সেওয়াগ স্বভাবোচিত ৯৫ বলে ১১৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে যান। তাকে যোগ্য সঙ্গত করেছিলেন সুরেশ রায়না। তিনি করেন ৬৯ বলে ৮৪। দুজনের জুটিতে ১৯৮ রান উঠেছিল। বাকি কাজটা সারেন যুবরাজ সিং (৪৮) ও ধোনি (২৬*)। ভারত মাত্র ৪২ দশমিক ১ ওভারেই জয়ের রানটা তুলে দিয়েছিল।

সূত্র: মাইখেল

একে//