ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটা, বলে দেবে এই পরীক্ষা

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

হৃদরোগের সমস্যা বিভিন্নভাবে হতে পারে। অস্বাভাবিক খাদ্য, খারাপ অভ্যাস এলকোহল এবং ধূমপায়ী এর সঙ্গে জড়িত। এটি শরীরের স্বাভাবিক রক্ত ​​সঞ্চালনে বাধা দেয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সে এসে মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।

হৃদরোগ মূলত বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভব করা হয়। প্রথম প্রথম একে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু মানুষের অজান্তে ধীরে ধীরে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।   

তাই নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (Public Health England) একটি অনলাইন টেস্ট-এর পদ্ধতি চালু করেছে। আপনার বয়স যদি ৩০ বছরের বেশি হয়, তাহলে এখানে ক্লিক করেই জেনে নিতে পারেন আপনার হার্টের স্বাস্থ্য সম্পর্কে। এই টেস্টের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি জানতে পারবেন তার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কতটা!

এই টেস্টটির মানে এমন নয় যে আপনার কখন হার্ট অ্যাটাক হবে তা বলে দিতে পারবে। বরং আপনার জীবনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে হবে কিনা বা ঠিক কতটা পরিবর্তন আনা জরুরি তা বলে দেওয়া যায় এই টেস্টের মাধ্যমে।

আসলে একজন মানুষের ‘হার্ট এজ’ বা ‘হৃৎপিণ্ডের বয়স’ কত, তা জানা যায় এই অনলাইন টেস্টের মাধ্যমে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন এবং দ্য স্ট্রোক ফাউণ্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই অনলাইন টেস্ট-এর পদ্ধতি।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড দাবি করেছে, ৭৫ বছরের কম বয়সী ৮০ শতাংশ মানুষেরই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে তার জন্য তাদের হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনের হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তারা উপদেশ দেয়, ধূমপান ছাড়তে হবে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে হবে এবং শরীরচর্চা করতে হবে নিয়মিত।

ওবেসিটি বা স্থুলতা, ভুল খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহা এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বুঝতে হবে আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি কমাতে কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন। যেমন-

১) ধূমপান বর্জন,

২) নিয়মিত শরীরচর্চা,

৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ,

৪) লবণ কম খাওয়া,

৫) মদ্যপান কমানো,

৬) মাছ খাওয়া,

৭) বেশি পরিমাণে ফাইবার খাওয়া,

৮) স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া কমানো,

৯) দিনে অন্তত পাঁচটি ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস,

১০) প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে উপকরণ ভাল করে দেখে নেওয়া ইত্যাদি।

প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই এই টেস্ট করেছেন। তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশেরই হার্ট এজ তাদের প্রকৃত বয়সের তুলনায় বেশি। ফলে তাদের কম বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন এবং দ্য স্ট্রোক ফাউণ্ডেশনের দাবি, এই অনলাইন টেস্ট জীবন-যাপনে অভ্যাসগত পরিবর্তন ঘটিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ফেরাতে বা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র : জি নিউজ।

কেএনইউ/