ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১ ১৪৩২

এখনও জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ?

প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

২০১৭ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত জঙ্গি হামলার সংখ্যা কমেছে। তবে ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস) এবং ‘আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের’ (একিউআইএস) মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলার ঝুঁকি এখনও যায়নি।

গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদে সহায়তাকারী দেশগুলোর মধ্যে ইরানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রতিবেদনটিতে ২০১৭ সালে সংঘটিত তিনটি হামলার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল। এ সংখ্যা ২০১৬ সালের চেয়ে কম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিদের দায়ী করলেও ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে সংঘটিত প্রায় ৪০টির মতো হামলার দায় স্বীকার করেছে একিউআইএস এবং আইএস।

তবে প্রতিবেদনটিতে সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে আদান-প্রদান করলেও দেশটি জঙ্গিদের কোনও নজরদারি তালিকা প্রস্তুত করেনি। তাছাড়া বাংলাদেশের ইন্টারঅ্যাক্টিভ অ্যাডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম নেই।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার মতো জটিল অভিযোগের তদন্ত করা ও অভিযোগ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা যথেষ্ট নয়।

প্রতিবেদনটিতে আফগানিস্তানের বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশটি এখনও আফগান তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের আগ্রাসী ও পরিকল্পিত হামলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার অনেকগুলোই পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটি থেকে পরিচালিত। ভারতও জঙ্গি হামলার স্বীকার হয়ে চলেছে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদ বিষয়ক এই বার্ষিক প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে এ সব তথ্য বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় নীতি প্রস্তুতে সহায়ক হতে পারে।

একে//