ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

সিনেমা তৈরিতে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে: আবদুল আজিজ

প্রকাশিত : ০৯:০৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

চলচ্চিত্রে একটা শ্রেণি আছে যারা আমার ছবি নিয়ে জটিলতা তৈরি করে। অথচ এই আমি গত কয়েক বছর ধরে একটানা ছবি বানিয়ে চলছি। যে বা যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাদের কাউকে ছয় বছরে কোনো ছবি বানাতে দেখিনি। ক্ষোভ থেকে কথাগুলো বললেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুল আজিজ।

তিনি বলেন, ‘ডুব’ ছবি নিয়ে আমাকে নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। সরকারের সব নিয়ম মেনে কাজ করার পরও কিছুদিন আগে ‘বেপরোয়া’ ছবির মুক্তি নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি করে। এরপর ‘প্রেম আমার ২’ ছবির শুটিং নিয়েও ঝামেলা তৈরি করে এই গ্রুপ। ছবির শুটিংয়ের সময় শুনলাম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাকি এসবির (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অনুমতি লাগে। তথ্য মন্ত্রণালয় যেখানে বলছে, এ নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তাহলে কেন বারবার আমাদের ছবি বানানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে!’ 

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।       

আবদুল আজিজ বলেন, ‘চলচ্চিত্র অঙ্গন এখন দুইভাগে বিভক্ত। যারা কাজ করছে তারা একটা গ্রুপ আর যাদের কোনো কাজ নেই তারা একটা। কাজ করার অংশ সারা বিশ্বেই কম হয়। বাইরের দেশে হয় ফিফটি-ফিফটি। আর আমাদের এখানে ১০ ভাগ কাজ করেন আর বাকি ৯০ ভাগ কাজ না করার দলে। বেকার লোক যারা আছেন, যাদের কোনো কাজ নাই, তারা প্রতি মুহূর্তে চলচ্চিত্র তৈরির ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছেন।’

‘নাকাব’ মুক্তি নিয়ে আজিজ বলেন, এই ছবিটি ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাংলাদেশে এর মুক্তি পিছিয়ে গেল। সব নিয়ম মেনে ছবি মুক্তির জন্য সব কিছু করি। বুধবার সে অনুমতি পাওয়া যায়। তারপর চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছি। এবার সংঘবদ্ধ মহল ছবিটা আটকানোর চেষ্টা করছে। নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে ছবির অভাবে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ঈদের পর নতুন কোনো ছবি মুক্তির খবর নেই। সিনেমা না থাকলে হলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আমাকেও ছবি বানাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না তারাও সিনেমা বানাচ্ছে না। তারা চাচ্ছে হলগুলো বন্ধ হয়ে যাক।  

এসি