ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

হোগলা পাতার রশিতে পাল্টে যাওয়া জীবন(ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার

হাতে পাকানো হোগলা পাতার রশি চেহারা পাল্টে দিয়েছে ভোলার কুটির শিল্পের। ঝুড়ি, ফুলদানী, মোড়াসহ বিভিন্ন সৌখিন আসবাবপত্র তৈরিতে, কদর রয়েছে শুকনো হোগলা পাতার রশির। অস্বচ্ছল পরিবারের হাজারো নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে এর মাধ্যমে। লাভজনক হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে রশি কারিগরের সংখ্যা।

ভোলার দুর্গম চরাঞ্চল ভেলুমিয়া, গজারিয়া ও চর চটকি মারা এলাকায় প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর হোগলা পাতা জন্মায়। অনেকে চাষও করেন। এসব পাতা সংগ্রহ করে রোদে শুকানোর পর হাতে পেঁচিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের রশি।

বর্তমানে ভোলায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন হাজারো নারী। হোগালা পাতার রশি বানিয়ে স্বচ্ছলতা আনছেন পরিবারে। একজন কারিগর একশো হাত রশি পাকিয়ে, পান ১০ টাকা। দিনে ১৫শ’ হাতেরও বেশি রশি তৈরি করেন তারা। এতে মাস শেষে আয়-রোজগার মোটের উপর  ভালোই আসে।

কারিগররা জানালেন, হোগলা পাতার এ রশি দিয়ে তৈরি হয় ফুলদানী, সোফাসেট, ড্রেসিং টেবিল, মোড়া, চেয়ার, মাদুল, আমের ঝুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাপপত্র। দেশে-বিদেশে এর বেশ চাহিদাও রয়েছে।

আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় অনেকে ঝুঁকে পড়েছেন হোগলা পাতার রশি তৈরিতে। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে, পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ঘরের কাজের ফাঁকে রশি তৈরির মাধ্যমে বাড়তি উপার্জন করে, এসব নারীরা আরো এগিয়ে যাক, এই সবার প্রত্যাশা।