ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

বৈষম্য ও শোষণ থেকে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী

অখিল পোদ্দার, নিউইয়র্ক থেকে

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

বৈষম্য ও শোষণের হাত থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বিশ্ব শান্তির জন্য সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথাও বলেন তিনি।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তি সম্মেলনে এ আহ্বান তিনি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অনেক সমাজের মানুষ বৈষম্য, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি, অত্যাচার, এমনকি জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে গণহত্যার শিকার হচ্ছে। জাতিগত নিপীড়নের শিকার ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি এখনও অধরা, তাই সব পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষার জন্য শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা এখনো সুরক্ষিত নয়। যার জন্য ম্যান্ডেলার মতো নেতারা লড়াই করেছিলেন। গোটা বিশ্বের বিশাল একটি অংশের মানুষ এখনো ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে।

নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আমাদেরকে নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা দিয়েছেন।

বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবেলায় সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা বাড়াতে হবে, সহনশীলতাকে উৎসাহিত করতে হবে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে শান্তির জন্য কাজ করছেন। দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, মানবাধিকার উন্নয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করে আসছি আমরা।

/ এআর /