ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের আড্ডা

অখিল পোদ্দার, (নিউ ইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকে

প্রকাশিত : ১১:৫৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:০০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে তিতাস পার্টি হলে এ আয়োজনে দেশ ও প্রবাসের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মানে এ অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।      

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক রিজু মোহাম্মদের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।

প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়াতে সুপারিশ উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি পৃথক একটি কমিশন গঠনের। যারা শুধু প্রবাসীদের সমস্যা ও বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে।”

এ দাবি আদায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা কামনা করেন জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস এবং পিপল এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী আবু হানিপ। 

প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া।

ফকির ইলিয়াস বলেন, “সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের ক্রীড়নক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। এস কে সিনহার মদদদাতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে দেশ ও প্রবাসের গণমাধ্যমকে।” 

প্রকৌশলী আবু হানিপ বলেন, “গত দেড় দশকে ৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর উচ্চ বেতনে চাকরির ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশের উচ্চতর ডিগ্রি থাকলেও যারা অড জবে জীবিকার বিকল্প দেখছিলেন না, তারা এখন আমেরিকান স্বপ্নের পথে ধাবিত হচ্ছেন।”

আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, “মিডিয়া হচ্ছে সমাজের বিবেক। রাষ্ট্রের পথনির্দেশনার ক্ষেত্রে ও প্রবাসী কমিউনিটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মিডিয়া ভূমিকা অপরিসীম। সামনের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সোচ্চার থাকবে বলে আশা করছি।”

প্রবাসী সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে রূপরেখা দেন একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট ডক্টর অখিল পোদ্দার। তিনি বলেন, একটি চক্র বিদেশে বসে দেশের সুনাম নষ্ট করতে মারাত্মকভাবে তৎপর। ক্ষুরধার ও প্রতিবাদী লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকেরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন।  

আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান টিভির লাবণ্য ভূইয়া, প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক পপি চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের নির্বাচন কমিশনার আকবর হায়দার কিরণ ও রাশেদ আহমেদ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ সংবাদদাতা পান্থ রহমান, গাজী টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাজু রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রুহুল আমিন রাসেল ও কাজী শাহেদ, নিউজ টোয়েন্টিফোরের শাহ আলী জয় ও ফয়সাল মিল্লাত জামি, বাংলা ভিশনের সাঞ্জিব আহমেদ, এটিএন বাংলার নিয়াজ জামান সজীব ও আকাশ দে, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের বিশেষ সংবাদদাতা রফিউল ইসলাম টুটুল, সুজন আহমেদ, কবি তুলি ইলিয়াস, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের হাজী জাফরউল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রহমান, জেবিবিএর নেতা ফাহাদ সোলায়মান, বিজনেস ফোরামের নেতা সেলিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর ই শিবলী, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য নিহার সিদ্দিকী, আজিমউদ্দিন অভি ও কানু দত্ত, সদস্য মিজানুর রহমান, শাহাদৎ হোসেন সবুজ, আনিসুর কবীর জাসির, লিটু রহমান, তপন চৌধুরী এবং আমজাদ হোসেন।  

এসি