ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেষ বয়সে সন্তানদের কাছে বোঝা হতে চাননি তৈয়ব (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বার্ধক্য প্রকৃতির স্বাভাবিক ও অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। বিশ্বে প্রতিদিনই বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। তবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন বয়োবৃদ্ধরা। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেকের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠির কল্যাণে সচেতনতার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

সন্তানদের সুশিক্ষা আর উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে জীবনের প্রায় সব সুখ বিসর্জন দিতে হয়েছিল মোহাম্মদ আবু তৈয়বকে। শেষ বয়সে কারো সংসারে আর বোঝা হতে চাননি। তাই বৃদ্ধাশ্রম এখন তার আবাস। জীবন সায়াহ্নে দুর্বল শরীরেও রান্না থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করতে হয় একাকী।

বৃদ্ধাশ্রমের প্রায় সবার গল্পই একই রকম। নিজেদের মধ্যে খুনসুটি আর সুখস্মৃতি রোমন্থন করে সময় পার করেন তারা। আবার কেউ কেউ বৃদ্ধাশ্রমে এসেছেন নিজের মত করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্ধক্যে একজন মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় চিকিৎসার। সেক্ষেত্রে সন্তানদেরই এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। প্রবীণ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক আশরাফুল আলম মাসুম বলেন, এই চিকিৎসা সেবাটা যদি সে সটিক ভাবে পায়, তাহলে তারা খুব ভাল ভাবে চলতে পারে।

আমরা সব দিতে পারলেও আত্মীয়তার বন্ধনটুকু দিতে পারিনা। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে জেলা পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা যতটুকু বরাদ্দ আছে  ততটুকু আমরা দিয়ে থাকি। ২০৬১ সালে দেশে প্রবীণের সংখ্যা হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। তাই এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদও দিলেন তিনি।