বিরোধী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলতে থাকুক: শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

বিরোধী দলের যেকোনো সুষ্ঠ রাজনৈতিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিরোধী জোট বড় হচ্ছে তা নির্বাচনের জন্য ভালো দিক। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসে কিনা তা দেখার বিষয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের অর্জন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন অর্জনের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভোট দুই ধরনের। একটা ভোট আওয়ামী লীগের, আরেকটা এন্টি আওয়ামী লীগের। তো বিরোধী জোট বড় হচ্ছে, তারা সুষ্ঠ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাক। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আমি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেব কেনো। তারা সুষ্ঠ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাক আমি চায়। বিরোধী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এভাবে চলতে থাকুক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভুল তথ্য প্রচার করলে, কোনো বিচারের ব্যবস্থা নেই। এর কোনো প্রতিকার নেই। কিন্তু এই অপপ্রচার ভুক্তভোগী ব্যক্তির মান সম্মান সব শেষ করে দিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি ততদিন সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিচু নেই। যারা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালনোর জন্য বসে আছেন তাদের এই আইনে ধরা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সরকারের ওপর পৃথিবীর সব দেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়ে যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করেছি, সবাই চেয়েছেন আমি যেনো আবার ফিরে আসি। তারা চেয়েছেন আমি যেনো আবার নির্বাচিত হই।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে সোমবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।