১৪ দলীয় জোট বাড়ানোর চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কলেবর বৃদ্ধির কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘ সফরসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক দীপক দেবের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চারদিকে অনেক বড় বড় জোট-মহাজোট হচ্ছে। এসবের মধ্যে আমাদের জোটের কলেবর বাড়ানোর তেমন কোনো চিন্তা নেই। এরপরেও কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসতে আগ্রহী থাকে, তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারি।’
এ সময় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো ফর্মুলা নেই। সংবিধানে বলা আছে প্রতি ৬০ দিন অন্তর সংসদ অধিবেশন বসার জন্য। তবে নির্বাচনের আগে এ বিষয়টি শিথিল থাকে। তখন আমরা সংসদ বহাল রেখে কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে কথা শুরু করেছি। আমাদের জোটের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কয়েকটির সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনাও নেওয়া হবে।
চলতি সংসদের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের সংসদ অন্য যেকোনো সংসদের চেয়ে ভালো ছিল। কারণ, এবার কোনো গালিগালাজ নাই, নোংরা কথা নাই, কোনো অঙ্গভঙ্গি নাই। বরং গঠনমূলক, সুস্থ এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। এ কারণে জনগণ এই সংসদের প্রতি অনেক বেশি আস্থাশীল।’
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব দেশে পার্লামেন্টারিয়ান ডেমোক্রেসি রয়েছে তাদের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, সরকার যেভাবে থাকে সেভাবে রেখেই পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের তিন মাসে নির্বাচন আয়োজন করে। তবে কোনও কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হলে তারা সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে। এটাই আসলে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নিয়ম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওই নিয়মেই নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে ক্যাবিনেট ছোট করে নিয়ে কাজ করা হবে। কারণ, নির্বাচনের সময়ে আরপিও অনুযায়ী চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা থাকে।’
প্রসঙ্গত, এবারের নিউ ইয়র্ক সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সঙ্কট সামাল দিতে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউ ইয়র্কে ইন্টার প্রেস সার্ভিসের ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’সম্মাননা দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে।
/ এআর /