ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি

প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

বুধবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের পর আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই পরিপত্র জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের পরিপত্রের কোটা পদ্ধতি নিম্নোক্তভাবে সংশোধন করেছে- নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

কোটা বাতিল করে পরিপত্র

উল্লেখ্য, আগের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেওয়া হতো মেধার ভিত্তিতে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।

এই পদ্ধতি মেধাবীদের জন্য বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে আসছিলেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। পরে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

টানা আন্দোলনের মুখে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম যখন ব্যহত তখন প্রধানমন্ত্রী গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা দেন ‘কোটাই থাকবে না’। সব নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।     

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী।  কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাবটিই বুধবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করায় এখন থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ হবে মেধা ভিত্তিকে। তবে আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (বর্তমান ১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বহাল রয়েছে।

এদিকে সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বুধবার রাত থেকে বিক্ষোভ করছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা। তাঁদের আন্দোলনের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ভেবে দেখবেন।

এ সংক্রান্ত আরো খবর

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

দুই-তিন দিনের মধ্যেই কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

/ এআর /