ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

২ হাজার পদে নিয়োগ হচ্ছে ইসিতে

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

‍নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দুই হাজার পদ সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদও রয়েছে। এসব পদে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার এবং পুনর্বিন্যাস ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির প্রধান এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান জনবল আছে তিন হাজার। নতুন পদ সৃষ্টি করে এই জনবল পাঁচ হাজার করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের সংসদ ‍নির্বাচনে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই এই জনবল নিয়োগ করা হবে।

নতুন পদ সৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশনে বর্তমানে জনবল তিন হাজার। এখানে আরও ২ হাজার জনবল যুক্ত হলে কমিশন আরও দক্ষ ও শক্তিশালী হবে।

ইসির আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বুধবার ইসির বিদ্যমান জনবল থেকে ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যুগ্ম সচিব কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার ১০টি পদের বিপরীতে ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরা চতুর্থ গ্রেডভুক্ত হবেন। উপসচিব পদে ২৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা পঞ্চম গ্রেডভুক্ত হবেন। এ ছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব ৩৭ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা ষষ্ঠ গ্রেডের আওতায় পড়বেন।

সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় তিন মাস আগে নতুন এই নিয়োগ নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে কি না- জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘না। যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হবে। কোনো বিতর্ক হবে না।’

‘নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন সবারই পদোন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমি দেখতে পাই, জনপ্রশাসনে পদোন্নতি হচ্ছে, পুলিশে পদোন্নতি হচ্ছে কিংবা তারা পদোন্নতি চাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনেও পদোন্নতির একটা ঢেউ লেগেছে’-যোগ করেন মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, গতকাল আমার সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়েছে। নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন‌্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির সভা। এই সভায় আমরা ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছি। যদিও এটাকে পদোন্নতি বলা যায় না। আমরা সুপারিশ করেছি, এটা এখন কমিশন সভায় যাবে। তারপর কমিশন অনুমোদন দিলেই এটাকে পদোন্নতি বলা যাবে।’

/ এআর /