ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

ব্রন দূর করতে শেরপানা

প্রকাশিত : ০৯:১১ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:১২ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

১) নাগদামনী রসে তিক্ত, কটু,লঘু ও রুক্ষ। পিত্ত কফ-বিকার দূর করে। মূত্রকৃচ্ছতা,ব্রন(ফোঁড়া) নাশক, বেলতার হুলের জ্বালা এবং জারগর্দভ রোগ দূর করে। জারগর্দভ রোগতকে কবিরাজ নিকেতন চক্রবর্তী মাম্পস বলে উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরে, শিবকালী ভট্টাচায জালগর্দভ শব্দের অর্থ এবং ব্যাখ্যা করে লিখেছেন- জাল মানে অস্ফুট কুঁড়ির মতো উদ্ভেদ দ্রুত সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে, জ্বর ও হবে। এগুলো পাকলে কিন্তু বোঝা যাবে না।

২) চুল উঠা বন্ধ করে। ঋতু সংশোধক, কৃমিনাশক এবং ক্ষধাবর্ধক, জ্বরঘ্ন। শিশুদের হামে এর হালকা ক্বাথ দেয়া হয়।

৩) পাতা এবং পুষ্টিত ডগার ক্বাথ স্নায়ু এবং খিচুনি সমস্যা এবং হাঁপানিতে উপকারী।

৪) হোমওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ায় এটি আর্টেমিশিয়া ভালগারিস নামই পরিচিত। মৃদুজাতীয় মৃগীরোগে, রঙিন আলোতে পাথা ঘুরলে যে জ্বরের ঘামে রসুনের গন্ধ পাওয়া যায়, আক্ষেপিক মোচড় থেকে মস্তক পশ্চাৎ দিকে বেঁকে যায়, মুখ বাম দিকে বেঁকে যায়, মস্তিস্কে রক্তসঞ্চয় লক্ষনে ও ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

শেরপানার পরিচিতি- নাগদমনী ৬০-২৪০ সিন্টি মিটার উঁচু ,রোমযুক্ত গুল্মসদৃশ ওষুধি। সিলেটের খসিয়া পাহাড় এলাকায় এ প্রজাতি পাওয়া যায়। পাতা বৃহৎ ডিম্বাকৃতি, খন্ডিত,ঝালরসদৃশ বা ১-২ পক্ষল কর্তিত। পাতার আপরের রং ধূসর এবং নিচের রং সাদাটে লোমযুক্ত যখন গাছে ফুল হয় তখনকার পতাগুলে ছোট হয়। লম্বা ধূসর বর্ণের পুস্পদন্ডের চারদিকে ফুল হয়

 

এসইউ/