ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সন্তান না হওয়ার জন্য শুধু কি স্ত্রী দায়ী: ডা. কাজী ফয়েজা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

এখনকার মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করা, ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সব বিবেচনায় রেখে অনেক দেরীতে বিয়ে করছে। বিয়ের পরও তাদের অনেকে বাচ্চার জন্য চিন্তা করছে না। তারা হয়তো তখন আরেকটু সেটেলড হওয়ার কথা ভাবছে। সংসারটা আরেকটু গুছিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে।

এগুলো করতে করতে বয়স ৩০-৩৫ হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে এসে তারা কনসিভ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় অনেকে সন্তান ধারণ করতে পারেন না।

আরেকটা দিক হচ্ছে আমাদের ফুড হ্যাবিট।আমরা এখন জাঙ্ক ফুডে এত বেশি অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের। ওবেসিটি সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার একটা বড় কারণ।

কারণ, যখনই মেয়েরা স্থূলকায় হয় তখনই তাদের শরীরে হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। পলিসিস্টিক ওভারী একটা বড় সমস্যা যার প্রধান কারণ ওবেসিটি। যখনই একটা মেয়ের ওজন বাড়ে আট থেকে দশ কেজি তখনই তার শরীরের প্রত্যেকটা হরমোন ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারায়। এটা দিনকে দিন বাড়তে থাকে ও প্রকট হতে থাকে। 

হরমোন ভারসাম্য হারানোর সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে প্র্যাগনেন্সি না হওয়া। এর ফলে আমাদের দেশে মেয়েদের সন্তান ধারনে সমস্যা হচ্ছে।

সন্তান না হওয়ার জন্য মেয়েরা যেমন দায়ী তেমনি ছেলেরাও দায়ী। সন্তান ধারনের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়ের ভূমিকা আছে।

তবে আমাদের দেশে ছেলেরা এমন সমস্যা নিয়ে আমাদের ( গাইনী ডাক্তার) কাছে আসতে চায় না। অধিকাংশ সময় দেখা যায় মেয়েটা একা আসে এবং বলে প্র্যাগন্যান্সি ট্রিটমেন্ট করবে।

আমরা যদি বলি, স্বামীকে নিয়ে আসতে হবে। স্বামীরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে। তখন তারা বাসায় গিয়ে বললে স্বামী তাতে রাজি হয় না। তখন তারা বলে, না আমার তো কোনো সমস্যা নাই।

এজ এ ম্যান তার আউটলুকিং খুব সুন্দর হতে পারে। কিন্তু সে যে সন্তান জন্মদানের জন্য ফিট তা নাও হতে পারে।

তাই আমরা যদি সন্তান জন্ম দেওয়ার চিকিৎসা দিতে যাই তাহলে আমরা মেয়েটির নানা বিষয় অবশ্যই পরীক্ষা নিরীক্ষা করব। পাশাপাশি স্বামীর একটি টেস্ট অন্তত সিমেন এ্যানালাইসিস অবশ্যই করতে হবে। এই টেস্টে বুঝা যাবে তিনি সন্তান জন্মদানের জন্য ফিট আছেন কি-না?

যদি সেই সিমেন টেস্ট নরমাল থাকে তাহলে স্বামীর আর কোনো টেস্ট করার দরকার পড়ে না। কিন্তু যদি সিমেন টেস্টে কোনো ঝামেলা থাকে তাহলে তাকেও আরও ইনভেস্টিগেশন করতে হবে।

**লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস। কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল। ও সহকারী অধ্যাপক, গাইনী, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।

এ সংক্রান্ত আরো পরামর্শ

অনিয়মিত পিরিয়ড হলে যা করবেন: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার (ভিডিও)

৬ নিয়ম মেনে চললে সিজার এড়ানো সম্ভব: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

 

/ আ আ / এআর