ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ৪ ১৪৩০

যে লক্ষণ বলে দেবে মুখে ক্যান্সার 

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

ক্যান্সার মরণঘাতি রোগ। তবে শুরুতেই যদি এটিকে চিহিৃত করা যায় তাহলে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। সে জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা খুবই জরুরী। মুখ এবং গলার ক্যান্সার অনেক মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এ ক্যন্সারে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকিও তৈরি হয়।

তবে, প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে, চিকিৎসা তাড়াতাড়ি শুরু হলে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও থাকে। এর জন্য গলার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলির সম্পর্কে জানা দরকার।   

আসুন জেনে নেই গলার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো- 

মুখে ঘা

মুখের ভিতর বিভিন্ন ধরনের ক্যন্সার হয়। প্রথমে লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় মুখে এক ধরনের ঘা হয়। এ ধরনের ঘা নানান রকম হতে পারে। অনেকের মুখে সাদা ক্ষত হয়। এই ক্ষত কখনো কখনো মিলিয়ে যায় বা মুছে যায়। এই ধরনের ঘা’তে ব্যাথা হয়, জ্বালাপোড়া হয়, খেতে অসুবিধা হয়। আবার এ ব্যাথা শুধু মুখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা গলাসহ বিভিন্ন জায়গায়ও হতে পারে। এই ঘা যদি তিন সপ্তাহের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে বায়োপ্সি করাতে হবে। বায়োপ্সি হলো এক ধরনের মাংস পরীক্ষা। এটার মাধ্যমে ক্যন্সার শনাক্ত করা হয়। তবে সব ধরনের ঘা ক্যান্সার তা কিন্তু ঠিক নয়। ভিটামিনের অভাব, নতুন দাঁত ওঠা বা আরও বিভিন্ন করণেও ঘা হতে পারে। ঘা হলে সেটি যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহ বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

ব্যথা ও খাবার গিলতে সমস্যা

গলার ক্যান্সার আক্রান্ত হলে গলায় ব্যথা এবং খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে। এমন কোনও লক্ষণ যদি দেখেন, তাহলে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।

কানে ব্যথা

যদি কয়েক দিন কানে ব্যথা করে বা টানা চার-পাঁচ দিন কানে ব্যথা থাকে তাহলে অবহেলা করা যাবে না। কী কারণে এই ব্যথা হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। এ জন্য দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

কাশি

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যদি কাশি থাকে তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। গলার ক্যন্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে কাশি।

গলা ভেঙে গেলে

অকারণে গলায় ব্যথা শুরু হলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আবার বয়ঃসন্ধির কারণেও ছেলেদের গলার স্বর বদলে যায়। কিংবা ঠাণ্ডা লাগার কারণেও আমাদের গলা কখনও কখনও ভেঙে যায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অসময়ে গলা ভেঙে গেলে, এবং তা অনেক দিন ধরে না সারলে চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই বসে না থেকে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হবে। 

এসি