ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সেনা সদর দপ্তরের জিডি
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছে সেনা সদর। সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের একটি টক-শোতে বর্তমান সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি।
গত শুক্রবার সেনা সদরের মেজর এম রকিবুল আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই জিডি করেন, যার নম্বর ৪৯৮।
ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার সেনা সদরের একজন মেজর বাদী হয়ে একটা জিডি করেছেন। জিডি নম্বর ৪৯৮। জিডিটি আমরা তদন্ত শুরু করেছিলাম। পরে এটি তদন্তের জন্য ডিবির (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন ডিবি এটি তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের একটি টক-শোতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, "দেখেন, এটা ছোট দেশ, আমরা একে-অপরকে চিনি। তবে অনেকগুলো তাদের বিরুদ্ধে পার্শ্ব সারকুমেস্টেনশিয়াল এভিডেন্স যে, আর্জেস গ্রেনেড কোত্থেকে এসেছে? দেখেন, আর্জেস গ্রেনেড, আমি জানি না, সময়টি মিলে কিনা, আমাদের বর্তমান চিফ অব আর্মি আজিজ সাহেব চট্টগ্রামের কমান্ডার ছিলেন, জিওসি ছিলেন, কমান্ড্যান্ট ছিলেন। তার ওখান থেকে একটা ব্যাপক সংখ্যক সমরাস্ত্র, গোলাগুলি চুরি হয়েছিল, হারিয়ে গেছিল, বিক্রি হয়ে গেছিল এবং এজন্য একটা কোর্ট মার্শালও হয়েছিল আজিজের নামে, জেনারেল আজিজের নামে কোর্ট মার্শালও হয়েছিল।"
এদিকে, গত শনিবার (১৩ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) একটি বিজ্ঞপ্তিতে ড. জাফরুল্লাহর এই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসত্য বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়, "বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চাকরি জীবনে কখনোই চট্টগ্রামে জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না।"
উল্লেখ্য, ঐ একই দিনে (১৩ অক্টোবর) সেনা প্রধানকে নিয়ে তার ভুল তথ্য দেওয়া এবং বিরূপ মন্তব্যের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
টিআর/