ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

যে উপায়ে ব্রেকআপ করলে কষ্ট কম হয়

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

সম্পর্ক তো মনের মাধুরী মোড়ানো পবিত্র বিষয়। তা যদি ভেঙ্গে যায় তবে তো কষ্ট লাগারই কথা। সম্পর্ক যে ধরণেরই হোক তা ভঙ্গের সময় কারো না কারো কষ্ট লাগেই।অনেক সময় সে কষ্ট দুজনকেই কাঁদায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেকআপের সময়ে কিছু কাজ করলে দুই পক্ষেরই কষ্ট কম হয়।

১) সত্যি বলুন, কিন্তু নিষ্ঠুর আচরণ করবেন না: সম্পর্ক কেন ভেঙ্গে দিচ্ছেন, তা জানার অধিকার রাখেন আপনার প্রেমিক-প্রেমিকা। অনেকেই কোনো কারণ ছাড়া বা কারণ ব্যাখ্যা না করেই সম্পর্ক ভেঙ্গে দেন। এতে অপর পক্ষ দীর্ঘ সময় কষ্ট পেতে থাকেন। হ্যাঁ, এ সময়ে ব্রেকআপের কারণটা তাকে বলুন। তারমানে এই নয় যে তার ব্যাপারে আপনার অতীতের সব ক্ষোভ একবারে উগরে দেবেন। বরং ব্রেক আপের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটি তাকে জানান। এরপর তার কষ্ট কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করুন। তাকে বলতে পারেন যে আপনারা বন্ধু হতে পারেন। তবে আপনি তার সাথে যোগাযোগ রাখতে না চাইলে সেটাও বলে দেওয়া উচিত।

২) মুখোমুখি কথা বলুন: অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া, ইনবক্স, টেক্সট বা ফোন ব্যবহার করে ব্রেকআপের চেষ্টা করেন কারণ সেটাই তাদের কাছে সহজ মনে হয়। আসলে কিন্তু মুখোমুখি কথা বলে নেওয়াটাই দুজনের জন্য ভালো। পাবলিক প্লেসে দেখা না করাই ভালো, কারণ ব্রেকআপের পর আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা কান্নাকাটিও করতে পারেন, এরপর তাকে আবার বাড়ি যাওয়ার ঝক্কি সামলাতে হবে। তার বাসায় বা বাসার কাছাকাছি কোথাও এ সংক্রান্ত আলোচনা করা ভালো। তাতে তিনি নিজের পরিচিত পরিবেশে স্বস্তি পাবেন।

তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা না করাই ভালো। যেমন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি আপনার ক্ষতি করার কোনো ঝুঁকি থাকে, বা আপনারা আলাদা শহরে বা আলাদা দেশে বাস করেন, অথবা সম্পর্ক খুবই কম সময় পার করেছে, তাহলে ফোনের মাধ্যমে ব্রেকআপ করাই যেতে পারে।

সম্পর্ক যত দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্তই হোক না কেন, তার সাথে হুট করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেবেন না। ব্রেকআপ করার বিষয়টি তাকে আগে জানিয়ে নিন।

৩) নিশ্চিত হন: অনেকেই ব্রেকআপ করে ফেলার পর আবার এ বিষয়ে চিন্তা করে, প্রেমিক প্রেমিকাকে আবার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে। ব্রেকআপের চেয়েও বিশ্রী পরিস্থিতি তৈরি হয় সে সময়ে। এ কারণে ব্রেকআপের আগেই ভালোভাবে চিন্তা করে নিন, এমনকি কোনো বন্ধুর সাথে এটা নিয়ে কথাও বলতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছুটা সময় নিন। অনেকের কাছেই সময় নেওয়ার মতো ধৈর্য থাকে না, কিন্তু তা জরুরী। ব্রেকআপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পর আর দেরি করবেন না। সম্পর্ক ছেদ করুন। অনেকে ব্রেকআপের আগেই অন্য প্রেমিক বা প্রেমিকা খুঁজতে থাকেন। সেটাও করা অনুচিত।

৪) যোগাযোগের সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দিন: ব্রেকআপের পর অনেকেই প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার খোঁজ রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার অনুমতি ছাড়া এটা করা ঠিক নয়। বরং আপনার সাথে যোগাযোগ আদৌ রাখবেন কিনা, এটা পুরোপুরি তার সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তাকে চাপাচাপিও করা উচিত না। এছাড়া প্রাক্তনের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করার আগে অন্তত তিন মাস সময় নেওয়া উচিত।

সুত্র- টাইম

আরকে//