ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল এর ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত  

প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার

উঠো, জাগো এবং শ্রেয়কে বরণ করো এই মহামতি মন্ত্রে দীক্ষিত সংগঠন সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল এসোসিয়েশনের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।    

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর শ্যামলির কাঁচা লংকা রেষ্টুরেন্টে, এবং চট্টগ্রামের নয়াবাজারস্থ মাতৃভূমি কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে।   

উৎসব মুখর পরিবেশে ও প্রাণঢালা আড্ডা আর মুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের প্রিয় সংগঠনের জন্মদিন পালন করা হয়। এরপরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। একযুগে পদার্পণ উপলক্ষে সংগঠনের দীর্ঘদিনের সুহৃদ ও শুভাকাঙ্খীরা শুভেচ্ছা জানান।

ঢাকায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ব’ বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও নির্মাতা আবদুল্লাহ শাহরিয়ার, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী এ আর সোহেল, একেএইচ গ্রুপের কমার্শিয়াল অফিসার জাবেদ বাপ্পি, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী মইনুল হক রুবেল, ‘মাদকমুক্ত সন্দ্বীপ চাই’ আন্দোলনের আহবায়ক সাইফুল আজম মুন্না, প্রকৌশলী নুহুউল আলম সবুজ, সাংবাদিক সনি, সংগঠনের সদস্য কাজী তামজিদ হোসাইন রাসেল, মাসুদ পারভেজ, বাহাদুর খান ইমন, রফিকুল ইসরাম রুমেল, মোহাম্মদ তানবীর, মোহাম্মদ আলী জাবেদ, মোহাম্মদ রিহান, মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ।

চট্টগ্রামের অনুষ্ঠান:

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন রিশাদ। উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামে এবি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু, এবি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ফাহিম, এবি কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শরিফুল আলম সৌরভ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য, মাসুদ রানা, সদস্য- তাসমিয়া আফরোজ নাম্মি, তারিনা ইয়াসমিন ঝরা,রাশেদা আক্তার ইমু, মো. মোক্তাদের মাওলা রাজু, ইমাম হোসাইন, শাকিল আদনান, মো. ইসমাইল হোসেন, আল আমিন রাজু, জমির উদ্দিন, মো. রাহাদসহ প্রমুখ।    

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক বলেন, নিঃসন্দেহে আমরা ভালো মুহূর্তে এসে পৌঁছেছি। এই পথচলার সারথিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই সংগঠনের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে তৃণমূলে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গণে পরিবর্তন এসেছে, সামনের দিনে আরও আসবে সে লক্ষে অসংখ্য সৃজনশীল তরুণরা কাজ করছে।

একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মানের প্রচেষ্টায়, সংগঠনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক ফলাফল সন্দ্বীপের মানু্ষ পেতে শুরু করেছে। এর ফলভোগী বিশেষত তরুণ সমাজ। অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সন্দ্বীপবাসীকে আমরা জানান দিয়েছি এই তরুণরা সুন্দরের পথে,পরিবর্তনের পক্ষে। সংগঠনের পথচলার মধ্য দিয়ে একটি অহিংস সমাজ গড়ে উঠুক এই কামনা করছি।

সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন রিশাদ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা ধারাবাহিতা রক্ষা করে চলেছি। এই বিশাল সময়ে আমাদের পথ চলাকে যারা মসৃণ করেছে আমরা তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করি সন্দ্বীপে তরুণদের মধ্যে যদি একতা থাকে তাহলে যেকোন সৃষ্টিশীলকাজের মাধ্যমে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাবো। সংগঠনটি সন্দ্বীপে সৃষ্টিশীল কাজের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে। এই ক্ষেএে আমাদের সংগঠন পাইওনিয়ার। যেকোন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্ছার আছি, সেই সাথে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ঐক্যবদ্ব রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সন্দ্বীপে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তি দিতে চাই। যেকোন সুন্দরকাজে সংগঠনের নেতা কর্মীরা কাজ করে যাবে। এছাড়া অতীতের সকল অর্জন ধরে রেখে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

আবদুল্লাহ শাহরিয়ার বলেন,  দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে এই সংগঠনটি ধারাবাহিক কাজের মধ্য দিয়ে ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন একটি বিরল ঘটনা। তরুণদের সবুজ সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে। সেই সাথে সন্দ্বীপের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গণমানুষের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে বলে মনে করি। এই সংগঠন অগণিত বসন্ত বেঁচে থাকুক এই কামনা করছি।   

উল্লেখ্য, সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল এসোসিয়েশন ২০০৭ সালে ১৮ অক্টোবর কাজী ইফতেখারুল আলম তারেকের নেতৃত্বে সন্দ্বীপের একঝাক সৃজনশীল তরুণদের নিয়ে যাএা শুরু করে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে এক যুগের পথে পা বাড়ালো। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সন্দ্বীপে শিক্ষা, সাহিত্য, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, মানবিক ক্ষেত্রে নাগরিক বদ্বতা থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। একই সাথে ৫২ ও ৭১ এর চেতনা বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত সমাজ বির্নিমানের লক্ষে সংগঠনটি বদ্বপরিকর। এছাড়া মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লড়াইয়ে সোচ্ছার থেকে একটি অহিংস সমাজ গঠনের সংগ্রামে শত তরুণ কাজ করে যাচ্ছে।   

কেআই/এসি