ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৪ ১৪৩২

জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ০৮:২৭ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:০২ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৪তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ। ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিকতম বাঙালি কবি। তাকে বাংলা ভাষার শুদ্ধতম কবি বলা হয়ে থাকে।
১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া এই কবির বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন একজন শিক্ষক। মা ছিলেন কবি কুসুম কুমারী দাশ। সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি কবিতা লিখতেন। মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা লেখার প্রেরণা পান জীবনানন্দ দাশ।
ধারণা করা হয়, তার কাব্যচর্চা শুরু অল্প বয়স থেকেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে জীবনানন্দের কবিতার  ভূমিকা ঐতিহাসিক। ষাটের দশকে বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগ্রামী বাঙালি জনতাকে তার রূপসী বাংলা তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করে।
মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোট গল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। তার প্রথম কবিতা ‘বর্ষা আবাহন’ প্রকাশিত হয় ব্রহ্মবাদী পত্রিকায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরাপালক’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়। জীবনানন্দের শ্রেষ্ঠ কবিতা গ্রন্থটিও ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
এসএ/