ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পেশাগত কারণে বাড়ছে ডিভোর্স! 

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:০২ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

ডিভোর্স এর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। এখনকার যুগে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ। নানা কারণেই মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবণতি ঘটছে। তার মধ্যে পেশাগত কারণে ভাঙছে অনেক সম্পর্ক। বর্তমান জীবনের ইঁদুরদৌড়ে পেশার কাছে হেরে যায় ভালবাসা। অনেক সময়ই দেখা যায় পেশাগত জীবন ঠিক রাখতে গিয়ে সম্পর্কে ফাটল ধরে। জল গড়ায় ডিভোর্স পর্যন্ত।  

ডেনমার্কে এই নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। ১৯৮১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত যারা বিয়ে করেছে, তাদের নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়। সমীক্ষা অনুযায়ী অফিসে পুরুষ ও মহিলাদের অনুপাত এর একটি অন্যতম বড় কারণ। অফিসে যদি বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলেই বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। দিন যত বাড়তে থাকে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোতে থাকে। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যা ভোগ করতে হয় মেয়েদের। কারণ তাদের পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় পুরুষ পার্টনাররা এসব সহ্য করতে পারে না। ঝগড়া চরমে ওঠে। দেখা যায়, ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে কর্মরতা মহিলাদের ডিভোর্স বেশি হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে সমস্যা আবার অন্যরকম। যদি কোনও পুরুষের বস হয় কোনও মহিলা, তাহলে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অদ্ভুত মানসিকতা কাজ করে। মহিলাদের তারা খুব একটা সহ্য করতে পারে না। ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এমন হলে ডিভোর্সের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শিক্ষাগত যোগ্যতাও ডিভোর্সের একটি অন্যতম কারণ। দেখা যায়, কেউ যদি তার সহকর্মীদের থেকে বেশি শিক্ষিত হয়, তার ডিভোর্স হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তবে এটা কেন হয়, তার কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। এটি পুরুষ ও মহিলা, দু’জনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

তবে সবথেকে বেশি ডিভোর্স হয় সন্দেহবশত। দেখা যায়, অনেকসময় কাজের খাতিরে অনেককে অফিসে অতিরিক্ত সময় থাকতে হয়, ফোনেও অনেকটা সময় কাটে। এখান থেকেই জন্ম নেয় সন্দেহ। সঙ্গী মনে করে, তার বুঝি অন্য কোনও অ্যাফেয়ার চলছে। কিন্তু তা নয়। স্রেফ কাজের খাতিরেই এসব করতে হয়। কিন্তু তা বোঝে ক’জন? তার মানে অবশ্য এই নয় যে শুধু কাজে থাকলেই মানুষ এসব করে। পরকীয়ায় জড়ালেও এসব করে মানুষ। সেই বিচার করতে হবে খুব ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসি