ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

রাবির ভর্তিতে কোটা থাকবে না: উপাচার্য

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:৪৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

আগামী বছর(২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ)থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে কোটার আসন থাকবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

সোমবার(২২ অক্টোবর)সকালে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন,‘সরকার যখন সকল কিছুতে কোটা বাতিল করেছে, তখন আগামী বছর থেকে আমাদেরও কোটা থাকবে না।সাধারণত আমরা যেটা চিন্তা করি, আমরা ভবিষ্যতেও চিন্তা করে দেখবো এটা থাকবে কিনা।সরকার ইতোমধ্যে হয়তো কিছু কিছু যেমন, আন্ডারপ্রিভিলেজ (শারীরিক অক্ষম), প্রতিবন্ধী যারা আছে, ট্রাইবাল পিপুল যারা আছে তাদের জন্য ১/২ শতাংশ হয়তো সরকার সেটা বিবেচনা করবে।এ ধরনের কোটা থাকতে পারে।’

সরকার সকল ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করেছে সেজন্য এখানেও কোটা রাখা হবে না বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।তবে, পোষ্য কোটা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর সুস্পষ্টভাবে দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সোবহান বলেন, ‘এখানে যেটা ওয়ার্ড কোটা হিসেবে আছে যেটা কর্মকর্তা, কর্মচারী যারা আছেন তাদের জন্য, এটা কিন্তু অতিরিক্ত।এ সিটগুলো (আসন) ছাত্রদের সিটের বাইরে।তারপরেও তাদের কিন্তু একটা যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে।সেটি কোয়ালিফাই (উত্তীর্ণ)না করে ভর্তি হতে পাবে না।এটা একেবারে রিলিফ(দান) দেওয়ার মতো না।এখানে ঢালাওভাবে ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।এ বিষয়টি বিবেচনায় থাকবে।’

এছাড়াও উপাচার্য আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সিদ্ধান্তের কথাও জানান।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে এখানে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। কেবলমাত্র তারাই পরীক্ষা দিতে পারবে যারা ওই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০০ নম্বরের। সেখানে লিখিত ৫০ মার্কস এবং নৈর্ব্যক্তিক ৫০ মার্কসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অংশের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সাথে আগামীতে দু’দিনের পরিবর্তে একদিনে সকল ইউনিটের পরীক্ষা শেষ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে প্রশাসন বলে জানান তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চোধুরি মো. জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দফতর প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

কেআই/