ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

১৩ দফা দাবিতে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:০৯ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ১৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তারা তালা লাগিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার , ট্রেজারারসহ বিভিন্ন শাখার পরিচালক গণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ।

তালা লাগানোর কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আমরা ১৩ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করি। স্মারকলিপি প্রদানের ১ বছর হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় হতে আমরা তেমন কোন সাড়া পায়নি। বিভিন্ন সময় আমাদের আশ্বত করা হলেও বাস্তবিক পক্ষে তা পূরণ করা হয়নি। অনেকটা আমাদের সামনে মুলা ঝুলিয়ে রাখার মতো অবস্থা। তাই আমরা তালা দিতে বাধ্য হয়েছি। দাবির সুস্পষ্ট বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান ত্যাগ করব না।

আপনাদের ১৩ দফা দাবী কি ছিল? এ ব্যাপারে তিনি একটি কাগজ দিয়ে বলেন, আমরা নিম্নোক্ত ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিলাম –

১) অনধিক ১-২ মাসের মধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ বা ওয়াই-ফাই সংযোগ প্রদান (২) বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযুদ্ধের মুরাল স্থাপনের জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেটের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করতে হবে (নির্মাণ কাজ চলমান) (৪) শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুপাতে আবাসন সুবিধা,বাসের সংখ্যা ও বাস যাতায়ত ট্রিপ বৃদ্ধি করতে হবে । (৫)অনুষদীয় ল্যাব গুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধকরণ, চাকরি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার ও দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ। (৬) মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। (৭) বাসের ড্রাইভারদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ,  ছাত্রদের সঙ্গে নমনীয় আচরণ করার ব্যাপারে তাদের নির্দেশনা প্রদান। (৮)মেডিকেল সেন্টারে দক্ষ ডাক্তার, রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রাথমিক ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। (৯)বিষয়ভিত্তিক ট্যুরের টাকা ৫০ থেকে ১৫০ ,স্টাইফেন ফি ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা, কান্ট্রি ট্যুরে টাকার পরিমান বৃদ্ধিকরণসহ (বর্তমান ৫০০০) ভর্তি ফি ও কোর্স ক্রেডিট ফি কমাতে হবে। (১০)বহিবিশ্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক বৃদ্ধিকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণ করতে হবে। (১১)বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা। (১২) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট মেরামত ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। (১৩)খেলার মাঠ উপযোগী করণের  জন্য গ্যলারী ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম জানান, আমরা শিক্ষকরা আলোচনা করেছি বিষয়গুলো নিয়ে। ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। আগামীকাল ভিসি মহোদয় তাদের ব্যাপারে সিন্ধান্তের কথা জানাবেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং আগামীকাল ভিসি মহোদয়ের সিন্ধান্ত জানার পর তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।

কেআই/ এসএইচ/