ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

খালেদার অনুপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

পুরোনো ছবি

পুরোনো ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলার বিচার চলছে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে কারাগার থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তবে বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আদালতে আসেননি।

গত ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পুরনো বিশেষ জজ আদালতে প্রবেশ করার সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ হওয়ায় রায় হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকাবস্থায় চ্যারিটেবল মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ৯ মাসে তিনি একবার আদালতে এসেছেন। তিনি মামলার শুনানিতে আসবেন না বলে একাধিকবার বলেছেন যা জেল কাস্টডিতে লেখা আছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় দেওয়ার পরেও যুক্তিতর্কে উপস্থিত হননি। এজন্য বিচারক এ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এদিকে বেলা ১১টায় আদালতে এসেছেন অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দেখা গেলেও আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরি পলাতক। খালেদা জিয়াসহ তিনজন গ্রেফতার রয়েছেন।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

/ এআর /