জনগণ চায় না, স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার ক্ষমতায় আসুক: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ চায় না, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার ক্ষমতায় আসুক। আমরা কেউ সেটা চাইনা। আমার বিশ্বাস যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে, তারাও সেটা চাইবে না।’
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। দেশের যে উন্নয়নটা করতে পেরেছি, যদি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। তাই আমি জনগণের কাছে ভোট চাই, যাতে নির্বাচিত হয়ে এসে এসব ধরে রাখতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সরকারে এসে আমার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দিয়েছিল। এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে আরও ৫-৬টি মামলা দেয়। ওই সরকার আমাকে নির্বাচন না করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি একটি কথা জোর দিয়ে বলেছি, নির্বাচন হবে; জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে। আমি এখনও সেই অবস্থানেই আছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেই এদেশে ক্ষমতায় আসে, সেই বসে যেতে চায়, থেকে যেতে চায়। কিন্তু আমি চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবে, তারাই সরকারে আসবে। আর সেজন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনাটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা; সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে এ সংলাপ শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এলডিএ’র ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
এলডিএ ৮টি বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত। দলগুলো হলো- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
এসি