ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জাবির সিন্ডিকেট সভায় প্রবেশে বাধার অভিযোগ উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থী শিক্ষকরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় প্রবেশে বাধা প্রদান করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করেছেন দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা। সিন্ডিকেটে কোরাম পূরণে বাধা, প্রশাসনকে এক উপ-উপাচার্যের অসহযোগিতা ও সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে অশোভন আচরন করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী গোষ্ঠীস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সহযোগিতা করা উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় যোগদান না করে উপাচার্য বিরোধী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীরের গ্রুপের সঙ্গে সিন্ডিকেটের সভা বর্জন করে আইন ও রীতি লঙ্ঘন করছেন। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে উপাচার্যের মাধ্যমে মহামন্য আচার্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসময় সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি অনুযায়ী, সিন্ডিকেটের কোরাম হতে ৬ সদস্যের প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাতে সিন্ডিকেটের কোরাম পুরণ না করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই এক সিন্ডিকেট সদস্যকে সভাকক্ষে ঢুকতে বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করেন শরীফপন্থী শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীবিধি অনুযায়ী, কোনো নিয়োগ বোর্ড ও সিন্ডিকেট সভায় বাধা দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রশাসনকে অসহযোগীতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, সভাকক্ষে চারবার ধাক্কা দেওয়ার পরও ভিতর থেকে দরজা খুলে দেয়নি। যা আমার জন্য অপমানজনক। পরবর্তীতে প্রক্টরের সহযোগিতায় সভাকক্ষে প্রবেশ করে এ অপমানের প্রতিবাদ জানিয়ে সভা বর্জন করি। এটা কোন দলীয় সিদ্ধান্ত ছিলো না।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোরাম হতে ৬ সদস্য প্রয়োজন। সভাকক্ষে পাঁচজন সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এসময় সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা সভাকক্ষে ঢুকতে গেলে উপাচার্য বিরোধী শরীফপন্থী শিক্ষকরা তাকে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বাধা উপেক্ষা করে ওই সিন্ডিকেট সদস্য সভাকক্ষে ঢুকেন এবং সিন্ডিকেটের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমিরসহ শরীফপন্থী চার সিন্ডিকেট সদস্য সভা বর্জন করেন।

আরকে//