ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘ইংলিশ ফর বিজনেস সাকসেস’ প্রকল্পের সমাপনী

প্রকাশিত : ১০:২৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর গুলশানে শেভরন কার্যালয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও শেভরনের আয়োজনে ‘ইংলিশ ফর বিজনেস সাকসেস’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে গত দুই বছরে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের প্রভাব ও ফলাফল প্রদর্শিত হয়। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি)’- এর অংশ। গত দুই বছর এ প্রকল্প শেভরনের অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ‘এসইআইপি’ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

এ প্রকল্পের অধীনে, দেশজুড়ে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং পরবরতীতে এ স্নাতকদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও)- এর সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিল দেশের ১৩টি কলসেন্টারে প্রশিক্ষণ দেয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শেভরনের ডিরেক্টর অব পলিসি গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ইসমাইল হোসেন চৌধুরী এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিচিং সেন্টার ম্যানেজার ফায়ে নিকোলস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেভরন বাংলাদেশের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ম্যানেজার গ্যারিও। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসইআইপি’র নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ, বিএসিসিও এর প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং এডিবি’র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট ঝিগ্যাং লি।
বক্তব্যে এসইআইপি’র নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, ‘এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের তরুণদের ওপর বিনিয়োগে শেভরন গুরিত্বপূর্ণ যে পদক্ষেপ নিয়েছে এজন্য আমি রোমাঞ্চিত। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বে ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানো এসইআইপি’র সেবার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এ প্রকল্পের চমৎকার বাস্তবায়নের জন্য ইসমাইল হোসেন ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এসইআইপি’র কন্ট্রিবিউটরদের অবদানের কথা বলেন। তিনি তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান কেননা বাংলাদেশ সরকার জাতীয় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছে।
শেভরন বাংলাদেশের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ম্যানেজার গ্যারি ও বলেন, ‘সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ খাতে বিনিয়োগ করতে পেরে শেভরন গর্বিত। ইংরেজি শিক্ষাও এক অন্য ধরনের বিনিয়োগ। চাকরির বাজারে বাংলাদেশি তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় নিতে ইংরেজি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর সেক্ষেত্রে, এ প্রকল্প আমাদের প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।’
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিচিং সেন্টার ম্যানেজার ফায়ে নিকোলস বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অগ্রণী ভূমিকার কথা আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ইংরেজির দক্ষতা চাকরির বাজারের আরও ভালোভাবে প্রতিযোগিতা করার সুযোগের পাশাপাশি জীবনের মানোন্নয়নে তরুণদের সুযোগ করে দিবে। এ প্রকল্প বাংলাদেশের তরুণদের প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে যাতে তারা সামগ্রিকভাবে তাদের পরিবার, গোষ্ঠী ও সমাজের প্রতি ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।’

এসএইচ/