কর মেলার উদ্বোধন
চার কোটি মানুষের কর দেওয়া উচিত : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

করমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: সংগৃহীত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তাতে অন্তত চার কোটি মানুষের কর দেওয়া উচিত। অথচ বর্তমানে কর দিচ্ছেন মাত্র ৩০ লাখ মানুষ। তিনি বলেন, বেশি মানুষ আয়কর দিলে সরকারি সেবা আরো বাড়ানো সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এ জন্য আয়কর জমা নিশ্চিত করতে হবে। করের টাকায় দেশের উন্নয়ন করা হবে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বেশি মানুষ আয়কর দিলে সরকারি সেবা আরো বাড়ানো যাবে। এতে করে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আয়কর মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআরের সদস্য জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী এই আয়কর মেলা। রাজধানীর পাশাপাশি ৭ বিভাগীয় শহর,জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এই মেলা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর কাঠামোকে আরো সহজ করতে সংস্কার চলছে। এটা চলমান বিষয়,ভবিষ্যতে আরো সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মেলায় একই ছাদের নিচে করদাতারা সব সেবা পাচ্ছেন। তিনি কর কর্মকর্তাদের মেলার পরিবেশে কর অফিসে করসেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের কর-জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাত এখনও ১০ শতাংশ, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এটাকে ২/৩ বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মেলা শুরুর পরপরই সকাল থেকে বিভিন্ন কর অঞ্চলের বুথে করদাতাদের ভিড় দেখা যায়। তাদের কাউকে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, কাউকে দেখা যায় ফরম পূরণ শেষে নির্ধারিত অংকের টাকা ব্যাংকের বুথে জমা দিতে।
মেলায় করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথও পাচ্ছেন।
কর মেলায় নতুন করদাতারা ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে পারবেন। আবার পুনর্নিবন্ধন করে ই-টিআইএন নিতে পারবেন পুরনো করদাতারা। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের জন্য পৃথক বুথ খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। এরপর প্রতিবছরই মেলার পরিধি বাড়েছে এবং করদাতাদের মধ্যে কর মেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
তথ্যসূত্র : বাসস।
/ এআর /