ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু কাল

স্থগিত করতে বলল জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১৫০ জন করে ১৫ দিনে এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হবে।
কিন্তু প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গারা ফিরতে চাচ্ছে না। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারে তাদের স্বজনদের হত্যা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া দেখেছে। অনেকে মিয়ানমারে না ফিরে আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত করতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানালেন খোদ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান মিশেল ব্ল্যাশেলেট। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রাক্কালে জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর আগে গত সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। গত সপ্তাহে মিয়ানমারে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল সপোর্টিয়ার (বিশেষ দূত) ইয়াংহি লিও একই কারণ দেখিয়ে প্রত্যাবাসন উদ্যোগ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ প্রত্যাবাসন উদ্যোগ স্থগিত করার আহ্বানটি এলো জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধানের কাছ থেকে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রত্যাবাসন উদ্যোগের প্রতি চীন ও ভারতের সমর্থন রয়েছে। তারা চায় দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু হোক। বাংলাদেশও চাচ্ছে প্রত্যাবাসন শুরু করতে। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গতকাল নয়াদিল্লিতে ৬০ জনেরও বেশি বিদেশি কূটনীতিককে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্ল্যাশেলেট বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাধীনতা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। প্রত্যাবাসন উদ্যোগটিই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

এসএ/