ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশকে সহনশীল করতে এনআরপি প্রকল্প চালু

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দুর্যোগ সহনশীলতাকে আরো টেকসই ও সমন্বিত করার মাধ্যমে, মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা যৌথভাবে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্প চালু করেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি) শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। প্রোগ্রামটি যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (সিআইডিএ) এর আর্থিক সহায়তায় শুরু হয়েছে, যেটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ| ৩ বছর স্থায়ী এই প্রকল্পে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি), ইউএন ওমেন ও ইউএন ওপিএস, দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় সক্ষমতা বাড়াতে কৌশলগত সাহায্য প্রদান করবে, যেখানে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে|

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন ,"জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতিকূল প্রভাবের কারণে, বাংলাদেশ সর্বদা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে এবং সেই কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন ‘ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি) একটি জ্ঞান-ভিত্তিক কর্মসূচি। এটি প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক, জেন্ডার রেসপন্সিভ ও রিস্ক ইনফর্মড প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নতুন চালু হওয়া ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলির ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলায় বাংলাদেশকে আরো সহনশীল করবে ।

অনুষ্ঠানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সচিব মো: শাহ কামাল বলেন, "ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি) জাতীয় স্বেচ্ছসেবক সংস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জেন্ডার রেসপন্সিভ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাতীয় সক্ষমতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘ঝুঁকি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এ কর্মসূচি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তিনি আরো বলেন “অর্থনৈতিক ও মানব উন্নয়ন বজায় রাখতে প্রয়োজন সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর পরিকল্পনা এবং তার জন্য দরকার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব|”

অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ উন্নয়ন অংশীদার, জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আরকে//