ঢাকা, রবিবার   ২৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১২ ১৪৩১

‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ যা আছে এই প্রামাণ্যচিত্রে [ভিডিও]

প্রকাশিত : ০৯:৩৪ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

প্রামান্যচিত্র ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ শুভ মুক্তির প্রথম দিনেই হলগুলোতে দর্শকদের উপচেপড়া ভীড়। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনের অদেখা গল্পে রীতিমতো মুগ্ধ দর্শকরা।

দর্শকদের বিচারে সঠিক ইতিহাস ধরে রাখতে এটি একটি বড় কাজ। তারা বলছেন, দলমত নির্বশেষে নতুন প্রজন্মের উচিত প্রামাণ্যচিত্রটি দেখা। কিন্তু কি আছে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে যে তরুণ প্রজন্মকে দেখতে হবে এটি?

এপ্রসঙ্গে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস জানালেন, আমাদের চেনা জানা শেখ হাসিনার অজানা-অদেখা গল্পগুলোই ‘শেখ হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ এর মূল উপজীব্য।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার দেখেছি রাজনীতির মঞ্চে। তাকে হাসতে দেখেছি, কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু কখনও দেখিনি একান্ত নিভৃতে একা মানুষটাকে; একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে।

তিনি বলতে থাকেন, “আমরা তার গল্পটা জানি না। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একা এতগুলো দিন সেই ভীষণ কষ্টের বোঝা একা বয়ে চলেছেন যিনি, তারও তো একটা গল্প আছে। এই ডকুমেন্টারিতে সেই অদেখা মানুষটার অন্য জীবনের গল্প জানবে সবাই।”

নির্মাতা পিপলু খান জানান, শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে খুব স্বাভাবিকভাবেই এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।

পিপলু বলেন, ‘তাছাড়া শেখ রেহানার কথাও এখানে খুব স্বাভাবিকভাবে চলে আসে। কারণ তারা দুই বোন হরিহর আত্মা। পরস্পরের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোরিফাই করতে নয়। কোনো রাজনৈতিক বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েও নয়, বরং একটি দেশের ইতিহাসের একটি সময়কে ৭০ মিনিটে তুলে আনতে চেষ্টা করা হয়েছে- বলেন পিপলু।

ছবিটি দেখার পরে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জীবনের হার না মানা যে লড়াই সংগ্রাম, তাই উঠে এসেছে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে।

অভিনেত্রী শমী কায়সার নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, তার মানসিক যন্ত্রণা, জীবন-যাপন সবকিছুই ধারণ করেছে এই ছবিটি।

সিআরআইর ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক থাকছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন দেবজ্যোতি মিস্ত্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।

ভিডিও:https://www.youtube.com/watch?v=e21tDjXONjw