ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

শেখ হাসিনার প্রামাণ্যচিত্র দেখার পরে মন্ত্রীদের মন্তব্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

প্রামান্যচিত্র ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ শুভ মুক্তির প্রথম দিনেই হলগুলোতে উপচেপড়েছে দর্শক। বঙ্গবন্ধু কন্যার সংগ্রাম, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পে আবেগাপ্লতু হয়ে পড়েছেন দর্শক। অজরে কেঁদেছেন অনেকে।

প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করেন নি সরকারের মন্ত্রী এমপিরাও। তারা বলছেন, দলমত নির্বিশেষে নতুন প্রজন্মের উচিত প্রামাণ্যচিত্রটি দেখা। সঠিক ইতিহাস ধরে রাখতে এটি একটি বড় কাজ।

প্রামাণ্যচিত্রে উঠে এসেছে, বাবা-মাসহ স্বজন হারানোর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ানো জীবন। পাথর চাপা কষ্ট নিয়ে বাবার মতোই সুখে-দুঃখে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু কণ্যা।

রাজনীতির বাইরে একান্তে নিভৃতে একা মানুষ হিসেবে কিংবা সব হারিয়ে আবারো সংগ্রামে ঘুড়ে দাঁড়ানো জীবনের এগিয়ে চলা গল্প। ৭০ মিনিটের প্রামাণ্য চিত্রের সেলুলয়েডে হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য জন তারই ছোট বোন শেখ রেহানা।

‘হাসিনা এ ডটার্স টেল’ শুধু প্রামান্যচিত্রেই আবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছে জ্বলন্ত ইতিহাস। শুভ মুক্তির প্রথম দিনেই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে মুগ্ধ দর্শক।

প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার পরে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এখানে তিনি জীবনের গল্প বলেছেন, সংগ্রামের গল্প বলেছেন। বলেছেন তার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।

ব্যক্তি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে জানতে ও বুঝতে দল-মত নির্বশেষে সবারই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখা উচিত বলেই মনে করেন অনেকেই।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বাস্তবকে বুঝবার জন্য, মানবিক স্তরকে বুঝবার জন্য তরুণ প্রজন্মের এই ছবির কাছে আসা উচিত।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জীবনের হার না মানা যে লড়াই সংগ্রাম, তাই উঠে এসেছে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে।

বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার, মতিঝিলের মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনের প্রদর্শনীও ছিলো হাউসফুল।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি কান্না বিজরিত কণ্ঠে বলেন, এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার পরে তরুণ প্রজন্ম এইটুকু অনুধাবন করতে পারবেন, যে একটা সুন্দর প্রজন্ম তৈরির জন্য এই মানুষটি তার সব মুহূর্ত ব্যয় করছেন।

অভিনেত্রী শমী কায়সার নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, তার মানসিক যন্ত্রণা, জীবন-যাপন সবকিছুই ধারণ করেছে এই ছবিটি।

দুই বছরের গবেষণায় প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছে ‘সেন্টার ফর রির্সাচ এন্ড ইনফরমেশন’ সিআরআই এবং অ্যাপলবক্স ফিল্মস। সিআরআইর ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক থাকছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন দেবজ্যোতি মিস্ত্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।

ভিডিও:https://www.youtube.com/watch?v=2L8E8jHG6hQ