ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই: গীতিকার সুজন হাজং

একুশে টিভি অনলাইন রিপোর্ট

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন কিনলেন গীতিকার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জনপ্রিয় যুবনেতা সুজন হাজং। আদিবাসী হাজং জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন নিলেন তিনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন।        

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কবি আসলাম সানী প্রমুখ।

গারো, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে এর আগে সংসদ সদস্য হলেও হাজং সম্প্রদায় থেকে এই প্রথম কেউ মনোনয়নপত্র কিনলেন। তিনি নেত্রকোণা-১ (দূর্গাপুর, কলমাকান্দা) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।

এ প্রসঙ্গে সুজন হাজং বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় সংসদে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চত করতে হবে। আমি মনে করি তরুণরা আত্মপ্রত্যয়ী তরুণরাই মাঠ পর্যায়ে ছুটে বেড়াতে পারে। তরুণরাই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। তারণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। আমিও একজন তরুণ হিসেবে দেশ সেবায় নিজেকে কাজে লাগাতে চাই।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার স্বপক্ষে সকল মানুষের রাজনীতি করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমিও স্বপ্ন দেখি মূলধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে।

তিনি বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। মনোনয়ন পেলে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল কৃষক আন্দোলনের পূণ্যভূমি আমার নির্বাচনী এলাকা (নেত্রকোনা-১) দূর্গাপুর কমলাকান্দাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে চাই আমার অবহেলিত পাহাড়ী জনপদের মানুষের মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার লড়াইয়ে। আমি তাদের পাশে সাহসে বুক বেঁধে দাঁড়াতে চাই।

সুজন হাজং ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত করেন নিজেকে। সে কারণে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও পরিচিত মুখ সুজন হাজং। কবিতা চর্চার পাশপাশি বেশ কিছু গানও লিখেছেন তিনি। তার লেখা আধুনিক গান ও দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ কণ্ঠশিল্পীরা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার লেখা একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ প্রজন্মের চার শিল্পী কিশোর দাশ, পুতুল, পুলক ও লিজা। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও এই পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকে শেখ রাসেলকে নিয়ে করেছেন ছয়টি গান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লিখেছেন আরো ৮টি গান যাতে কণ্ঠ দিচ্ছেন সার্কভুক্ত ৬টি দেশের ৮ জন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী।

এসি