ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

ভিন গ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে ছিলই!

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনামে আসে ইউএফও দেখতে পাওয়ার কথা। বিতর্ক ওঠে সেই সব খবর নিয়ে। একাংশের মানুষ সেগুলোকে সত্য বলে মানেন। অন্যরা খারিজ করেন। এই চাপান-উতোর চলতে থাকে অনর্গল। তবে সম্প্রতি এক পুরনো পেন্টিংকে ঘিরে শুরু হয়েছে শোরগোল। এই ছবিতে নাকি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ভিনগ্রহীদের এক মহাকাশযানকে। পুরনো ছবির এ হেন ব্যাখ্যায় উত্তাল নেট-দুনিয়া।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের পালাজ্জো ভেচ্চিও প্রাসাদের হল অফ হারকিউলিস-এ টাঙানো রয়েছে ‘ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড উইথ ইনফ্যান্ট সেন্ট জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ নামের পেন্টিংটি। ১৫ শতকে আঁকা এই ছবিরই মাথার দিকে একটি আশ্চর্য বস্তুকে চিহ্নিত করেছেন ইউএফও হান্টাররা। তাদের মতে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ‘অজানা উড়ন্ত বস্তু’, যা ভিনগ্রহীদের যান না হয়ে যায় না।

উড়ন্ত বস্তুটিকে ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়, সেটির গায়ে কাঁটা-কাঁটা কিছু রয়েছে। তা ছাড়া ছবির এক পাশে দেখা যায়, একজন মানুষ সেটিকে বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছে। ইউএফও হান্টারদের বক্তব্য, ছবির শিল্পী তার জমানায় ভিনগ্রহীদের যাতায়াত ছিল- এ কথা জানাতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তা না হলে কেন বাইবেল অনুষঙ্গের ছবিতে এমন আজব জিনিস চিত্রিত হবে?

এই বিচিত্র বস্তু নিয়ে যখন তর্ক তুঙ্গে, তখন একদল চিত্রকলা বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এটি আদৌ ইউএফও নয়। ধর্মীয় অনুষঙ্গবাহী এই ছবিতে এই বস্তুটি আসলে কোনও দেবদূত, আকাশ থেকে মেরি, যিশু ও সন্ত যোহনকে আশীর্বাদ করছেন। আর কাঁটা-কাঁটা বস্তুগুলো সেই দেবদূতের দেহ থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি।

কিন্তু, উড়ন্ত চাকির মতো দেখতে এই বস্তুটি কী করে ‘দেবদূত’ হয়, তা নিয়ে সমানে তর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন ইউএফও-বাদীরা।

সূত্র: এবেলা

একে//