ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান ধারণে অক্ষমতা কী একই: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

হেলথ ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

দাম্পত্য জীবনের পরিপূর্ণতা আসে সন্তান লাভের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সম্প্রতি বন্ধ্যাত্বের হার বাড়ছে। পাশাপাশি বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সমাজে বিরাজ করছে নানা ধরণের কুসংস্কারও।

প্রশ্ন হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান ধারনে অক্ষমতা কি একই বিষয়? বা এ দুটোর মধ্যে পার্থক্য কি?

বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান ধারনে অক্ষমতা এক বিষয় না হলেও অনেকটা কাছাকাছি বিষয়। আগে আমরা যেটাকে বলতাম ইনফার্টিলিটি, এখন সেটাকে বলি সাফফার্টিলিটি।

আমাদের বই পুস্তকে এখন ইনফার্টিলিটি বলে কিছু নাই। অর্থাৎ একেবারে অসম্ভব বলে কিছু নাই। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাই একটা বাচ্চা কনসিভ করানোর।

যদি এমন হয় মায়ের ডিম্বানু আসছে না তাহলে আমরা সেটার জন্য চেষ্টা করি। যদি দেখা যায় তা ডিম্বাশয়টা নাই, সেক্ষেত্রে তার বোনের কাছ থেকে, তার রিলেটিভের কাছ থেকে অথবা অন্য কারো কাছ থেকে (যেটাকে আমরা বলি `ডোনার এগ`) সে ডিম্বাশয়টা নিতে পারে।

যদি এমন হয় তার জরায়ুটা নেই, জরায়ুটা অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হয়েছে তখন আমরা তার ডিম্বানু ও তার স্বামীর শুক্রানু বাইরে নিষিক্ত করে তার বোনের বা কোন রিলেটিভের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করে থাকি।

ওখানে বাচ্চাটা ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ হওয়ার পর প্রসব হলো। এটা কিন্তু তাদেরই বাচ্চা। এভাবে অনেকগুলো পদ্ধতি এখন আছে যা আবিষ্কারের ফলে আমরা এখন বলি না যে, এটা বন্ধ্যাত্ব বা কখনো সন্তান হবে না।

তবে আমাদের দেশে এখনও ‘ডোনার এগ’ বা ‘ডোনার স্পার্ম’ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। তবে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে এভাবে সন্তান নেওয়া হচ্ছে।

লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস

কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল।

শ্রুতি লেখক: অালী অাদনান।