ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

শহীদ ডা. মিলন দিবসে নেতৃবৃন্দ

‘গণতন্ত্রের লড়াই এখনো শেষ হয়নি’

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

প্রতিবছরের মতো এবারো পালিত হচ্ছে শহীদ ডা. মিলন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহীদ ডা. মিলনের কবরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হচ্ছে। পুষ্পস্তবক অর্পন করতে এসেছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল একুশে টেলিভিশন অনলাইন। তেমনি কয়েকটি প্রতিক্রিয়া পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
শহীদ ডা. মিলনের কবরে পুষ্পস্তবক করেতে এসেছিলেন রাজনীতিবিদ ও সমাজকল্যান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে তিনি বলেন, ডা. মিলন একটি ইতিহাস। যে ইতিহাস শুধু অামাদেরকে গণতন্ত্র রক্ষার শিক্ষাই দেয় না, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে বাঁচতে হবে সেদিকে অনুপ্রাণিত করে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন ও এক মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেছে অাওয়ামী যুবলীগ। যুবলীগ চেয়ারম্যান একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, শহীদ ডা. মিলনের রক্তের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র এসেছে সেই গণতন্ত্রের ধ্বজা বহন করে চলেছেন গণতন্ত্রের মানসকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট অাবু কাউছার মোল্লা বলেন, অামরা এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিকল্প নেই।
বাসদ- এর কমরেড খালেকুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, শহীদ ডা. মিলনের খুনীরা এখন রাষ্ট্রীয় ভাবে সুবিধা পাচ্ছে। এটা অামাদের জন্য লজ্জার। সিপিবি-রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শহীদ ডা. মিলন যে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছেন সেই গণতন্ত্র কাগজে কলমে এলেও সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই অামাদের সংগ্রাম চলছে।
উল্লেখ্য, শহীদ ডা. শামসুল অালম খান মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সামরিক জান্তার পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে স্বৈরাচার বিরোধী অান্দোলন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল। ফলে পতন হয়েছিল স্বৈরাচার সরকারের। কিন্তু এখনো শহীদ মিলনের খুনীদের বিচার হয়নি।
অা অা/এসএ/