ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিল্পী নিতুন কুন্ডুর জন্মদিন আজ

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

নিতুন কুন্ডুর ৮৪তম  জন্মদিন আজ সোমবার। নিতুন কুন্ডু একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্যোক্তা। তার পুরো নাম নিত্য গোপাল কুন্ড। তিনি সাবাশ বাংলাদেশ, সার্ক ফোয়ারা প্রমুখ বিখ্যাত ভাস্কর্যের স্থপতি।
নিতুন কুন্ডর জন্ম দিনাজপুরে। তার লেখাপড়ায় হাতেখড়ি ১৯৪২ সালে দিনাজপুর বড়বন্দর পাঠশালায়। ১৯৪৭ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর শহরের গিরিজানাথ হাইস্কুলে। ১৯৫২ সালে তিনি মেট্রিকুলেশন পাস করেন। পড়ালেখা করেছেন তদানীন্তন ঢাকা আর্ট কলেজে (বর্তমানের চারুকলা ইনস্টিটিউট)। সেখান থেকে তিনি ১৯৫৯ সালে চিত্রকলায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এই বহুমাত্রিক নান্দনিক মানুষটি ১৯৩৫ সালের ৩ ডিসেম্বর দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। নিতুন কুন্ডু নিজের শিক্ষা অর্জন করেছিলেন নিজের আয়ে, সিনেমার ব্যানার এঁকে। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিত্রশিল্পে স্নাতক সমমানের পাঁচ বছরের কোর্স সমাপ্ত করেন।

এরপর নিতুন কুন্ডু ঢাকার মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মার্চ পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে স্বাধিকার আন্দোলনের সময় তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অধীনে তথ্য ও প্রচার বিভাগে ডিজাইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘সদাজাগ্রত বাংলার মুক্তিবাহিনী’—এই স্লোগানে তাঁর আঁকা পোস্টারটি অমর হয়ে আছে।

স্বাধীনতার পর তিনি আর চাকরি করেননি। স্বাধীনভাবে সৃজনশীল কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে গড়ে তোলেন ‘অটবি’ নামে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে যা বাংলাদেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।

জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পুরস্কার ও পদকের ট্রফি, ক্রেস্ট, মেডেল প্রভৃতির নকশাকার তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ, এশিয়া কাপ ক্রিকেট পুরস্কার প্রভৃতি। নিজে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। এর মধ্যে আছে ‘একুশে পদক’ (১৯৯৭)।

২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মারা যান এই বহুমাত্রিক শিল্পী।

 টিআর/