ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৫ ১৪৩২

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সরব হয়ে উঠে বিশ্ব (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

চৌঠা ডিসেম্বর ১৯৭১। বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ক্রমেই অস্থির হতে শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন। এই দিনে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সিনিয়র জর্জ বুশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেন। রাশিয়ার বিরোধীতায় ওই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র যখন হেরে যায়, মূলত তখনই কেঁপে উঠে পাকিস্তানী শাসকদের মসনদ।

একটি স্বাধীন ভূখন্ডের পথে তখন মুক্তিকামী বাঙালী। হাতে অস্ত্র, চোখে দৃপ্ত স্বপ্ন আর মনে সাহস।

সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সি আর দত্ত আর মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে সিলেটের কানাইঘাট দখলের পর শক্তিশালী অবস্থান নেয় মুক্তিবাহিনী।

তিন নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী দখল করে শমসের নগর বিমানবন্দর এবং আখাউড়া রেল স্টেশন। মেহেরপুর দখল করে মুক্তিবাহিনী একে একে মুক্ত করে যশোর ও পাকিস্তানীদের শক্ত ঘাঁটি কামালপুর বিওপি।

মিত্র বাহিনীর বিমান আর নৌবাহিনীর আক্রমনে বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী।

রণাঙ্গনে যখন এমন পরিস্থিতি, তখন আরেক যুদ্ধ জাতিসংঘে। নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। উদ্দেশ্য-নিরস্ত্র বাঙালীর মুক্তিসংগ্রামকে পাক-ভারত যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিয়ে সুবিধা নেয়া। কিন্তু, এই প্রস্তাবের প্রবল বিরোধীতা করে রাশিয়া। ভেস্তে যায় ওই কূটকৌশল।

এদিন ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে বেতার ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধের ঘোষণা দেন।

এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী লিখিত এক পত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার আহবান জানান। 

এই দিনে মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর।