ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ১২:০৭ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:০৮ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের এক হোটেলে মৃত্যুবরণ করেন। ৭১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে জাতীয় ৩ নেতার মাজারে তাঁর সমাধি রয়েছে।

আজ বুধবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।   

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ জাতিকে সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে আসছে।’  

তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। একজন প্রতিভাবান সংগঠক হিসেবে তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা।    

প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।   

এদিকে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সোহরাওয়ার্দীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

উল্লেখ্য, তিনি ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সোহরাওয়ার্দী। তার বাবা  প্রখ্যাত বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৪৭ এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

এছাড়া ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নেতা সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ উপাধিতে ভুষিত হন।

কেআই/এসি