ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাই কোর্টে হাওলাদার

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০২:০৮ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার

নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও পটুয়াখালী-১ আসনের প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে হাই কোর্টে গেছেন জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।

হাওলাদারের আইনজীবী আশিক আল জলিল জানিয়েছেন, বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাই কোর্ট বেঞ্চে দুপুরের পর ওই আবেদনের ওপর শুননি হতে পারে। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ রিটের পক্ষে শুনানি করতে পারেন বলে জানান আশিক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে হাওলাদারকে ‘ঋণ খেলাপি’ বলা হয়েছিল। সে কারণে পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে। কিন্তু শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক গত ৮ নভেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারের ঋণ পুনঃতফসিল করে স্টেটম্যান্ট দেয়।

“কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করার এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের না থাকার পরও শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের পুনঃতফসিলের স্টেটমেন্ট গ্রহণ না করে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির ভিত্তিতে মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছে। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের ওপর শুনানির দ্বিতীয় দিন শুক্রবার নির্বাচন কমিশন হাওলাদারের নামঞ্জুর করে। গত ২ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করার পরদিনই তাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

তবে শনিবার জাতীয় পার্টির আরেক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাওলাদারকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন এরশাদ। পার্টি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তার সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব হাওলাদারই পালন করবেন।

আরকে//