বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪৯ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর প্রত্যয়ে শুরু হলো ২০১৯ সাল। পুরোনো বছরের দুঃখ ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
নতুন বছর উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা চৌকিসহ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছাদে বা উম্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা না গেলেও চার দেয়ালের মাঝে অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
এত কিছুর পরও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে থার্টিফার্স্ট নাইট ও নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করেছে মানুষ। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও রাজধানীর অনেক এলাকায় ভবনের ছাদে ছিল নানা আয়োজন। রাতের আকাশে দেখা গেছে আতশবাজির ঝলকানি। নগরের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় ছিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
এদিকে ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে র্যাবের হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়। সন্ধ্যার পর গুলশান-বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু এলাকায় প্রবেশে ছিল বিধিনিষেধ। রাতে নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট বা নববর্ষ ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই এ ধরনের একটি উদযাপন থাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকার গেট দিয়ে প্রবেশ করেছে। রাত ৮টার পর কাকলী ও আমতলী ক্রসিং ছাড়া গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের সব সড়ক বন্ধ ছিল।
একই সময়ে হাতিরঝিল এলাকায় প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও র্যাব। গুলশান-বনানী ও ঢাবি এলাকায় কড়াকড়ি থাকলেও বনশ্রী, মোহাম্মদপুর, কাকরাইল, খিলগাঁও, পুরান ঢাকাসহ কিছু ছিল উৎসবমুখর। রাত ১২টার আগেই ফানুসে ছেয়ে যায় আকাশ। পোড়ানো হয় প্রচুর আতশবাজি। অনেক ভবনের ছাদে লাউড স্পিকারে গান বেজেছে।
নগরবাসীর নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ছিল পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য। গতকাল সন্ধ্যার আগে থেকেই নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।
এমএইচ/