ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

শেখ হাসিনা হারিয়ে গেলেন বান্ধবীর সঙ্গে মধুর স্মৃতিচারণে

প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছাত্রজীবনের মধুর স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বান্ধবী প্রফেসর নাজমা শামস। তারা দু’জন ভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী ছাত্র নেতা ছিলেন। কলেজ জীবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ থেকে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) এবং প্রফেসর নাজমা শামস ছাত্র ইউনিয়ন থেকে জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বুধবার (০২ জানুয়ারি) সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রফেসর নাজমা শামস। আর সেখানেই এই আবেগঘন পরিবেশ দেখা যায়।

অধ্যাপক নাজমা শামস বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরামের জাতীয় কমিটির সভাপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এসেছিলেন শেখ হাসিনার ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করায় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে।

প্রফেসর নাজমা গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্যদিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেখতে আসায় তিনি খুবই আনন্দাপ্লুত হন। তারা আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কের এই উষ্ণতা দেখে অভিনন্দন জানাতে আসা সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।

কিছু সময়ের জন্য তারা তাদের অতীতের স্মৃতি রোমন্থনে মগ্ন হয়ে যান। ছাত্রজীবনের উত্তাল দিনগুলোতে একসঙ্গে পাকিস্তানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছিলেন সেই স্মৃতি এখনো অটুট। তারা স্মরণ করলেন কিভাবে অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলন গড়ে তুলে তারাও বাঙালি জাতির শত্রু পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দেলন-সংগ্রামে অনেক অবদান রেখেছিলেন সেই কথা।

দেশের উত্তাল দিনগুলোতে দুই বান্ধবী রাজপথে ছিলেন একসাথে। রাজনীতির আদর্শের মতভিন্নতা ছিল। দেশের প্রশ্নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক দু:শাসনের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। সেই সম্পর্ক এখনো অটুট আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা হলেই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন। কৈশোরের সেই দিনগুলোতে বারবার ফিরে যান। কিরকম ছিল সেই আন্দোলনের দিনগুলি, সেই সময়ের ছাত্র রাজনীতিসহ নানা খুনসুটি। এরই একজন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হ্যাট্রিক জয়ে দেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। এই শেখ হাসিনা এখন শুধু আর বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের সভাপতি কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন। তিনি এখন পুরা বিশ্বের বিস্ময়। যিনি গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৃতীয় বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নতির শিখরে। বিশ্ব মোড়ল’রা এখন বাংলাদেশের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে, সমীহ করে চলেন। তা সম্ভব হয়েছে শুধু শেখ হাসিনার ক্যারিসমেটিক নেতৃত্বের কারণেই।
 
আরকে//