ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

 ‘ভুল’ কয়েন নিলামে উঠল দেড় কোটি টাকা

প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১১:২২ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

স্কুল থেকে টিফিন কিনে ফেরত টাকার মধ্যে একটি ‘ভুল’ কয়েন পেয়েছিলেন এক কিশোর। ৭২ বছর পর সেই ‘ভুল’ কয়েনেরই নিলাম হল চড়া দামে!

১৯৪৩ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। আমেরিকার টাঁকশালে ভুলবশত ২০টা কয়েন তৈরি হয়। ভুল কেন?

কারণ, সে সময় যুদ্ধসামগ্রী, যেমন বোমা, ফোনের তার তৈরিতে তামা বিপুলহারে ব্যবহৃত হত। জোগান পর্যাপ্ত রাখতে তামার ব্যবহার অন্যান্য খাতে যতটা সম্ভব কমানো হয়।

তাই দস্তার প্রলেপ লাগানো স্টিলের কয়েন ছাপানো হত আমেরিকায়। সেই সময়েই টাঁকশালে ভুলবশত ২০টা তামার মুদ্রা তৈরি হয়। সেই তামার কয়েনগুলি বাজারে বেরিয়েও যায়।

কিছু কয়েন ভুলবশত ছাপা হয়েছে এবং যে এই বিরল কয়েন ফেরত দেবেন ফোর্ড মোটর কোম্পানি তাকে ওই কয়েনের পরিবর্তে নাকি গাড়ি দেবে। অফারের লোভে নকল তামার কয়েনে বাজার ছেয়ে যায়।

১৯৪৭ সালে এমনই একটা কয়েন পান ১৬ বছরের জন লুটস জুনিয়র। মাস-এর পিটসফিল্ড-এ জনের স্কুল ক্যাফেটরিয়ায়। খাবার কিনে টাকা ফেরত পেয়েছিল ছোট্ট জন। তার মধ্যেই একটা তামার লিঙ্কন কয়েন ছিল।

বিরল কয়েনের বিনিময়ে গাড়ি পাওয়ার খবর জনও জানত। কিন্তু ট্রেজারি এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, কয়েনের বদলে গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব পুরোটাই গুজব। সবাই জনকে তখন বুঝিয়েছিলেন, এটা আসল লিঙ্কন কয়েন নয়। তা সত্ত্বেও কয়েনটা নিজের কাছে রেখে দেয় জন।

২০১৮ সেপ্টেম্বরে জন মারা যান। তত দিনে তিনি জেনে গিয়েছেন তার কাছে থাকা কয়েনটি আসল। মৃত্যুর আগে তিনি চেয়েছিলেন কয়েনটা বিক্রি করে দিতে। যাতে তার অবর্তমানে এই বিরল কয়েন সঠিক জায়গায় পৌঁছয়। ১০ জানুয়ারি জনের সংগ্রহের ওই কয়েন নিলামে ওঠে।

২ লক্ষ ৪ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে জনের ওই কয়েন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার সমান। ২০১০ সালে এমনই একটি কয়েনের নিলাম হয়েছিল। দাম উঠেছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার। পিটসফিল্ড-এ একটি লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জন। নিলামের টাকা সেই লাইব্রেরির উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/