ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানিতে সুবাতাস

প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের আলোচিত বাজার। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে তেমন গতি ছিল না। তবে সম্প্রতি পরিস্থিতি পাল্টেছে। চলতি অর্থবছরের গেল ছয় মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৯ শতাংশের মতো।

২০১৩ সালে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি স্থগিত এবং প্রায় একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যবিষয়ক ট্রান্সপ্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তির প্রক্রিয়া- এই দ্বিমুখী চাপে পড়ে বাংলাদেশের পণ্য। যদিও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা ছিল না। তবে পোশাক কারখানার কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিত করে। টিপিপি চূড়ান্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে এক পর্যায়ে ক্রেতারা ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

এখানেই শেষ নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কার্যালয় ২০১৬ সালে জিএসপি পর্যালোচনায় বাংলাদেশসহ আরও এগারোটি দেশের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র ১২৭ দেশের এ সুবিধা নবায়ন করে। এর ফলে দর প্রতিযোগিতায় ত্রিমুখী চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রফতানি কমতে থাকে ধারাবাহিকভাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিটের তুলনায় ওভেনের চাহিদা বেশি। আলোচ্য সময়ে ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ২৩১ কোটি ডলারের বেশি। আগের একই সময়ের তুলনায় ওভেনের রফতানি বেশি ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে নিট পোশাক রফতানি হয়েছে ৭৮ কোটি ডলারের। ওভেনের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও কম হয়েছে নিটের। নিটের প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশের কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমে যায় ৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩০৯ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান বাজার জার্মানিতে রফতানি হয়েছে প্রায় ২৯৬ কোটি ডলারের পোশাক। জার্মানিতে রফতানি বেশি হয়েছে ১১ শতাংশের মতো।

এসএইচ/