ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

আমার ক্রীড়া জীবনের এখানেই সমাপ্তি : বোল্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সাবেক ‘নম্বর ওয়ান’ উসাইন বোল্ট। জানালেন, তার ক্রীড়া জীবনের সমাপ্তি ঘটে গেছে।

বোল্টের বহুদিনের স্বপ্ন পেশাদার ফুটবলার হবেন। স্বপ্ন দেখতেন একদিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলবেন। সেই স্বপ্ন পূরণে কিছুটা পথ হেঁটেওছিলেন। তবে অল্প দূরত্ব অতিক্রম করতেই ইতি টেনে দিলেন আটবারের অলিম্পিক সোনাজয়ী স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট।

অনেকদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিল ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে ফেলবেন উসাইন বোল্ট। অবওেশষে এ ব্যাপারে মুখ খুললেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে মাস দুয়েক অনুশীলন করা বোল্ট বলেন, ‘বেঁচে থাকতে হলে আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত শিখতে হয়। এটা ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল। আমি দলটির সাথে অনেক উপভোগ করেছি। আমার ক্রীড়া জীবনের এখানেই সমাপ্তি। এখন আমি কিছু একটা করবো। অনেক কিছুই আছে পাইপলাইনে। সব কিছুই চেষ্টা করছি। আশা করি, একজন ভালো ব্যবসায়ী হওয়ার চেষ্টা করবো।’

উল্লেখ্য, উসেইন সেন্ট লিও বোল্ট, ওজে, সি.ডি.। তার জন্ম ২১ আগস্ট, ১৯৮৬। জামাইকায় জন্মগ্রহণকারী বিশ্বখ্যাত দৌড়বিদ। ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিবর্গ মনে করেন, বোল্ট পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব হিসেবে পরিচিত। তিনি ১০০ মিটার দৌড় ৯.৫৮ সেকেণ্ডে এবং ২০০ মিটার দৌড় ১৯.১৯ সেকেণ্ডে শেষ করেন। বোল্ট নিজের করা বিশ্বরেকর্ড ২০১০ সালে ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ৯ টি সোনা জয় করেন৷

বোল্ট জ্যামাইকার ছোট শহর শেরউড কনটেন্ট নামক গ্রামে বাবা ওয়েলেসলি, মা জেনিফার বোল্ট, ভাই সাদেকি ও বোন শেরিনকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বেড়ে ওঠেন। তার বাবা ছিলেন মুদি দোকানদার। বাবার সঙ্গে মা-ও দোকান চালাতে সাহায্য করতেন। একসময় উসেইন বোল্টকেও চাল-ডাল বিক্রি করতে হয়েছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। এই মুদি দোকান থেকে যা আয় হতো তা দিয়েই কোনোরকমে চলতো তাদের সংসার।

ছোট বেলায় ভাইয়ের সঙ্গে গ্রামের রাস্তায় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলে সময় কাটত বোল্টের। এই দুটি খেলার প্রতিই বোল্টের ভালো লাগা রয়েছে। যে কোনো খেলার মাধ্যমেই হোক সারাক্ষণ দৌড়ের উপরেই থাকতেন তিনি। প্রাইমারি শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি হলেন ওয়েলডেসিয়া প্রাইমারি স্কুলে। সেই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্প্রিন্ট ট্র‌্যাকে ১ম পা পড়ে বোল্টের এবং শুরুতেই বাজিমাত করেন বোল্ট। ১০০ মিটারে স্কুলের সেরা দৌড়বিদ হন তিনি। বোল্টকে দেখে অলিম্পিকের সাবেক এক স্প্রিন্টারও পরামর্শ দেন অ্যাথলেটিক্স এর মনোযোগ দেওয়ার জন্য। জ্যামাইকার হয়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলের ইভেন্টে প্রথম অংশ নেন ২০০১ সালে। প্রথমবার অংশ নিয়েই ২০০ ও ৪০০ মিটারে জিতে নেন রুপা। একই বছর হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে অংশ নেন। কিন্তু ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও তখন পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং (২১ দশমিক ৭৩ সে.) করেন।

এসএ/